এডিনো ও রিওভাইরাস গ্রুপঃরিও ব্রয়লারের রোগ কিন্তু ভ্যাক্সিন দিচ্ছে কমার্শিয়াল লেয়ারকে
রিও ব্রয়লারের রোগ কিন্তু ভ্যাক্সিন দিচ্ছে কমার্শিয়াল লেয়ারকে
এই ২টি গ্রুপ দ্বারা অনেক গুলো মারাত্মক রোগ পোল্ট্রিতে হয় যা খামারীর লসের কারন হয়ে দাঁড়ায়।
এডিনোভাইরাস লেয়ার ও ব্রয়লারে আর রিওভাইরাস মূলত ব্রয়লারে রোগ সৃষ্টি করে।
ক।এডিনো ভাইরাসঃ
এটি বিভিন্ন জাতে বিভিন্ন রোগ তৈরি করে যেমন
ব্রয়লারেঃ
১।আই বি এইচ( ইনক্লোশন বডি হেপাটাইটিস),
২।এইচ ই(হেমোরেজিক এন্টারাইটিস)
৩।নেক্রোটিক প্যাঙ্ক্রিয়াটিস ও গিজার্ড ইরোশন।
লেয়ারে ই ডি এস।
কোয়েলে কোয়েল ব্রংকাইটিস।
ফিজেন্টে স্পিনোমেগালী মানে মার্বল স্পিলন ডিজিজ( এম এস ডি।
ব্রয়লার ব্রিডারে ২০-৪৫ সপ্তাহে স্পিনোমেগালি হয় এবং ৮-৯% মারা যায়,এটি একোট বা পার একোট হয়।মাইল্ড রেস্পিরেটরী ডিজিজ তৈরি করে।
হোস্টঃ
পাখি হল ন্যাচারাল হোস্ট।মুরগি ছাড়া কোয়েল,হাঁস,রাজহাস ও টার্কিতে রোগ তৈরি করে।এডিনো ভাইরাসে মর্বিডিটি ১-১০% আর মর্টালিটি ১-১০% তবে আই বি এইচে মর্টালিটি বেশি হয় (১০-২০%)।।মর্টালিটি কম হলে ও ব্রয়লারের ওজন কম হয় ও লেয়ারের ডিম কমে যায় মারাত্মক ভাবে।এটি জীবানূনাশকের প্রতি রেজিস্ট্যান্ট যেমন(ক্লোরোফর্ম,পি এইচ,তাপমাত্রা,ফরমাল্ডিহাইড)তবে আয়োডাইড ভাল কাজ করে।এর ১২ টি সেরোটাইপ ও ৩ টি সেরো গ্রুপ ১,২,৩
কিভাবে ছড়ায়ঃহরিজোন্টালি ও ভার্টিকেলি(ভার্টিকেলি হয় সেরোটাইপ ১)।
লক্ষণ ও ডায়াগ্নোসিস
নরমালি সাবক্লিনিকেল তবে বাচ্চাতে ক্লিনিকেল রুপে হয় যদি মেটার্নাল এন্টিবডি কমে যায়।হেমোরেজিক এন্টারাইটিসঃ( ডায়রিয়া,এনেমিয়া,হেমাটোচেজিয়া,এনোরেক্সিয়া ও ডিহাইডেশন)
ভেন্ট্রিকোলাইটিস(গিজার্ড)
চিকিৎসা ও কন্টোল;
হাইজিন ও নিউট্রিশন যাতে ভাল হয়।ব্রিডার ফার্মে টিকা দিতে হবে (লাইভ ও কিল্ড)
এডেনো ভাইরাসের লাইফ সাইকেল;
ভাইরাসের গ্লাইকোপ্রোটিন হোস্ট সেলের রিসেপ্টরের সাথে এটাস হয় এবং সেলের নিউক্লিয়াস এ ঢুকে এন্ডুসাইটোসিসের মাধ্যমে লাইসিস করে দেয়।এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর ই -কলাই,আই বি ডি ও স্ট্যাফাইলোকক্কাসের কো ইনফেকশন হয়।
######
খ।রিওভাইরাসঃ
এটি সব ফার্মে সব জায়গায় থাকে।
হোস্টঃ
চিকেন এবং টার্কি।এটি মূলত ব্রয়লার মুরগির জন্য মারাত্মক সমস্যা যা প্রধানত ৩-৮ সপ্তাহে বেশি দেখা যায় তবে লেয়ারে বিরল।ব্রয়লার ব্রিডারে ২৯-৩০ সপ্তাহে হতে পারে।এটি বিভিন্ন রুপে দেখা যায়।
ব্রয়লার লেয়ারের মত উড়াউড়ি করে,ওজন আসেনা,তাই লস হয়।৩০ দিনে ৭০০-১২০০ গ্রাম হয়।খামারী,ডিলার ও ডাক্তারের হাতে করার তেমন কিছু থাকেনা,ব্রিডার ফার্মে টিকা দিতে হবে যাতে বাচ্চাতে রোগ না আসে।
লক্ষনঃ
হাটতে চায়না,ব্যথা হয় এবং পড়ে যায়।(Distinct swelling of tendon and above of hock joint.হেলিকপ্টারের মত পাখা হয়।
১।Malabsorption syndrome/Mal digestion syndrome/Pale bird syndrome
sign:Small intestine pale,dilated and indigested forage.Orange tinged diarrhoea.Pancreatitis
২।ভাইরাল আর্থাইটিস /টেনোসাইনোভাইটিস
lameness and swelling affecting tarsometatarsal,joints and feet mainly in broiler.
৩।Stunting syndrome in broilers(Helicopter diseases)ঃ
Weight loss and uniformity reduce 5-10% even 40-50%.
এটি প্রধানত ১৪ দিন পর বেশি দেখা যায়।pancrease atrophy হয়ে যায়।
৪।Nervous signঃTwisted neck and tremor
কিভাবে ছড়ায়ঃ
হরিজোন্টালি (পায়খানার মাধ্যমে) এবং ভার্টিকেলি।(ডিমের মাধ্যমে যদি ব্রিডার আক্রান্ত হয়>)ছোট বাচ্চা সহজেই এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়।একবার আক্রান্ত হলে ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত মুরগিতে থাকতে পারে
কন্টোলঃ
টিকা (লাইভ ও কিল্ড) ব্রয়লার ব্রিডারে ভ্যাক্সিন দিতে হবে।আয়োডাইড জীবানূ নাশক ভাল কাজ করে।
প্রতিরোধ
ব্রয়লার ব্রিডারে টিকা(attenuated and inactivated) দিতে হবে যাতে বাচ্চাতে ম্যাটানাল ইমোনিটি তৈরি হয়।বায়োসিকিউরিটি মেনে চলা
Malabsorption syndrome
(Helicopter disease,brittle bone disease,infectious proventriculitis,pale bird syndrome,stuntig and running disease
নোটঃ
নরসিংদীতে প্রায় সব ফার্মে ব্রয়ালারের এই রোগটাকে লেয়ারে শুকনা রোগ নামে আখ্যায়িত করে কমার্শিয়াল লেয়ারে রিও ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে।
নরসিংদীতে লাখ লাখ ডোজ রিও ভ্যাক্সিন ব্যবহার হচ্ছে,এর পরিণতি পোল্ট্রি সেক্টরের জন্য খুব খারাপ হবে।নরসিংদী দেশের সবচেয়ে বড় ব্রয়লার মার্কেট।ব্রয়লারে রিও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে।
পৃথিবীর কোন দেশে এই রিও ভ্যাক্সিন কমার্শিয়াল লেয়ারে ব্যবহার হয় না।অথচ নরসিংদীতে ব্যবহার হচ্ছে,খুবই দুঃখজনক ।।শুধু রিও কেন,বোতলের মধ্যে পানি দিয়ে কয়েক ধরনের ভ্যাক্সিন বিক্রি হচ্ছে এবং খামারীরা এগুলো ব্যবহার করছে।
রিও মেইনলি ব্রয়লারের রোগ।
কমার্শিয়াল ব্রয়লার আর লেয়ারের রিও ভ্যাক্সিন তেমন কাজ করে না তাই ভ্যাক্সিন যদি দিতেও হয় দিতে হবে ব্রিডারে।ভার্টিকেল রোগের টিকা ব্রিডারে দেয়াই উচিত কারণ আক্রান্ত বাচ্চাকে চিকিৎসা বা ভ্যাক্সিন দিয়ে লাভ হয় না।
তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম লেয়ারে রিও হচ্ছে,তাহলে টেস্ট করে আগে জানতে হবে।আর যদি হয়ে থাকেও তাহলেও ভ্যাক্সিনের ইফিকেসি নাই,বরং ভ্যাক্সিন দিতে হবে লেয়ার ব্রিডারে।এতএব কমার্শিয়াল লেয়ারে রিও ভ্যাক্সিন দেয়ার কোন যুক্তি নাই।এই ভ্যাক্সিন লেয়ারে দেয়ার ফলে কমার্শিয়াল ব্রয়লারে রিওর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবার সম্বাবনা থাকে।এতে ফিল্ডে ভাইরাস ছড়াবে এবং ব্রয়লারের জন্য ক্ষতিকর হবে ।আরো কিছু ভ্যাক্সিন আছে যারা বিভিন্ন ভাবে মনের খুশিতে দিয়ে যাচ্ছে।খামারীর কথা হলো সব ভ্যাক্সিন দিয়ে দিবো।কোন টা যাতে বাকি না থাকে।সব ভ্যাক্সিন দিলে মুরগি ভাল থাকবে। এটা ভুল ধারণা।খামারীদের ত এই ভ্যাক্সিন সম্পর্কে ধারনা থাকার কথা না,কেউ না কেউ এগুলোর প্রচলন করেছে।এখন থেকে আর না দেয়াই মংগল হবে।
নিচের লিংকে বিস্তারিত আছেঃ
https//www.hester.in
https//thepoultrysite.com
কারনঃ
রিওভাইরাসের সাথে যদি অন্য ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার মিক্স ইনফেকশন হয় তাহলে ডাইজেস্টিভ সিস্টেমে সমস্যা হয় এবং ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি হয় কারণ খাবার ও পানির পুস্টি শোষন হয় না।
লক্ষনঃ কয়েক দিনের মধ্যেই ডায়রিয়া দেখা যায় যা ১০-১৪ দিন থাকে।
হালকা বা গাড় বাদামী পায়খানা,ফেনাযুক্ত পায়খানা।আনডাইজেস্টেড পায়খানা দেখা যায়।মরটালিটি বিভিন্ন রকম ৪-৯%।৪-৫ সপ্তাহে অস্টিওস্পোরোসিস হতে পারে।
চিকিৎসাঃ
চিকিৎসায় কাজ হবেনা।
কন্টোল;
ব্রিডার ফার্মে টিকা দিলে বাচ্চায় ম্যাটারনাল এন্টিবডি আসে।বায়োসিকিউরিটি মেনে চলা।
এন্টেরিক ডিজিজ কমপ্লেক্সঃ
বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়
যেমন ভাইরাল এন্টারাইটিস ইন চিকেন
আমেরিকাঃ পেল বার্ড সিন্ড্রম,ম্যাল এবজর্শন সিন্ড্রম,ডায়রিয়া ও স্টান্টিং
ইংল্যান্ডঃইনফেকশাস স্টান্টিং সিন্ড্রম,হেলিকপ্টার ডিজিজ
ভাইরাল এন্টারাইটিস ইন টার্কি
টার্কি ভাইরাল এন্টারাইটিস,পোল্ট এন্টারাইটিস,ম্যাল এবজর্শন সিন্ড্রম
কারণ
ভাইরাসঃরিও,এন্টারো,পারবো,টোগা,ক্যালসি ভাইরাস
ব্যাক্টেরিয়াঃক্যাম্পাইলোব্যাক্টর এবং স্পাইরোকেটস
মোল্ড
ইপিডিওমোলজিঃ
২ সপ্তাহের দিকে হয়,ঠান্ডা,অধিক ঘন,পুর হাইজিন,ব্রিডারে ১ম ২ মাসের বাচ্চা এবং বিভিন্ন ফ্লকের ডিমের বাচ্চা
প্যাথোজেনেসিস
২য় দিনে ক্ষুদ্রান্তে ইনফেকশন হয় এতে ডায়রিয়া হয়।অধিকাংশ বাচ্চা ভাল হয়ে কিন্তু কিছু বাচ্চার প্যাঙ্কিয়েটক এট্রোফি হয়।ফ্যাট সলুবল ভিটামিন (ডি) শোষণহয় না ক্ষুদ্রান্তের ক্যালসিয়াম চিলেটেড হয়ে পায়খানা দিয়ে বের হয়ে যায়।হাইপোগ্লিসেমিয়া হয়ে বাচ্চা মারা যায়।
লক্ষণ
ডায়রিয়া,স্টন্টিং,১৫% বাচ্চা লিটার খায়,অতিরিক্ত পানি খায়
ক্রনিক ফর্মঃ
Sequelae পালক উঠেনা,ডাউন ফেদার থাকে,হেলিকপ্টারের মত হয়।১০দিনের মধ্যে বাচ্চা ছোট বড় হয়ে যায়।টাইপিকেলি ৫-১০% বাচ্চা গ্রোথ বন্ধ হয়ে যায় এমন কি ৫০% বাচ্চাও ছোট থাকতে পারে।খাবার পাত্রের উপর দাঁড়িয়ে থাকে এবং লম্বা সময় ধরে খেতে থাকে।
লেশনঃ
প্রভেন্টোকোলাস বড় হয়ে যায়,প্রভেন্টীকোলাইটিস,প্যাঙ্ক্রিয়েটিক এবং থাইমিক পরিবর্তন হয়,হাড়ের গঠন ভাল হয় না,পায়ের কালার ভাল হয় না,ক্যাটারাল এন্টারাইটিস,pale intestine with orange mucus.