আমরা যারা ডি ভি এম ডিগ্রি নিয়েছি তারা ফিল্ডে বিভিন্ন ধরণের সমস্যায় পড়ি যার অধিকাংশ আমাদের ক্যাম্পাসের সীমাবদ্ধতা দায়ী।
কারণ টেকনিক্যাল বিষয় শিখার মত ব্যবস্থা তেমন নাই।বিশেষ করে পোল্ট্রিতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা।
আবার বিভিন্ন ক্যাম্পাসের সুযোগ সুবিধা বিভিন্ন রকম।
অথচ পোল্ট্রিতে ৭০% ছাত্র ছাত্রী জব করে।
ক্যাম্পাসে ব্রয়লার,লেয়ার,সোনালী, ব্রিডার ও হ্যাচারী,গরু,ছাগলের সেড থাকা দরকার ছিল যেখান থেকে ছাত্র ছাত্রী শিখবে।
তাছাড়া পেট এনিম্যাল ও অন্যান্য পোল্ট্রি থাকা উচিত।
শিক্ষকরা ও প্যাক্টিস করবে যাতে ছাত্রদের সহজে বুঝাতে পারে।
থিওরি ও প্যাক্টিকেল হবে ৫০%-৫০% কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে ৯০%-১০%।
থিওরি ছাড়া প্যাক্টিকেল বুঝে আসে না আবার প্যাক্টিকেল ছাড়া থিওরি ও মনে থাকে না।
তাই চাকরি করতে গিয়ে ফিল্ডে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে, টেকনিক্যাল কাজ করতে সাহস পায় না।
এই সুযোগে কোয়াক তৈরি হচ্ছে ,আমরা কোয়াকদের দোষ দিচ্ছি।
প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী কোথাও শূণ্যতা থাকে না।
যদিও কিছু কিছু ক্যাম্পাসের ছাত্র ছাত্রীরা দেশের বাহিরে এক্সটারনী করতে যাচ্ছে ভাল কথা কিন্তু সব কিছু বিদেশির মত হলে চলবে না।
আমাদের দেশের আবহাওয়া,রোগ ব্যাধি,ব্যবস্থাপনা,টেকনোলজি,শিক্ষা ব্যবস্থা ,পোল্ট্রি ও ডেইরী শিল্প অন্য দেশের মত না।
আমাদের আরেক টা সমস্যা আমরা শিখতে চায় না।
দেখি এবার কারা শিখতে চায়
যারা পড়াশুনা করতেছে তাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে একটা সুযোগ দিতে চায় যদি তারা নিতে চায়।
আমেনা পোল্ট্রি কেয়ার এন্ড কন্সালট্যান্সি সার্ভিসের মাধ্যমে আমার কাছে ইন্টানী করার সুযোগ ।
আমি আমেনা পোল্ট্রি কেয়ার এন্ড কনসালট্যান্সি সার্ভিসে ইন্টার্ন(ডিভিএম) ছাত্র ছাত্রীদের জন্য যেসব সুযোগ থাকবে।
১।পোল্ট্রিতে দক্ষ হবার সুযোগ
২।ফার্ম ভিজিট এর সুযোগ(লেয়ার,ব্রয়লার,সোনালী,সোনালী ব্রিডার,কোয়েল,টার্কি,কাদাকনাথ, হ্যাচারী,গরুর ফার্ম)
৩।পোস্টমর্টেম এর সুযোগ
৪।এক সাথে অনেক ডাক্তার দ্বারা ট্রেইনিং পাওয়ার সুযম( চেস্টা করবো যেসব ডাক্তার নরসিংদীতে কর্মরত আছে তাদের দিয়ে কিছু ক্লাস করানো)
৫।ল্যাব এর সুযোগ
৬।থিওরী ও প্যাক্টিকেল নলেজকে সমন্বয় করা্র সুযোগ
৭।ক্লাস করার সুযোগ
৮।বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পোল্ট্রি জোনে ইন্টার্ন করার সুযোগ
৯।পোল্ট্রির সকল বিষয়ে প্রশ্ন করা ও প্রশ্নের সমাধান পাওয়ার সুযোগ।
১০।পোল্ট্রিতে অনলাইন কার্যক্রমের মাধ্যমে লেটেস্ট জ্ঞান অর্জনের সুযোগ।
১১।গল্পে গল্পে শেখার সুযোগ
১২.১০ বছরের অভিজ্ঞতা (অতি অল্প সময়ে জানার সুযোগ)
১৩।পোল্ট্রির সকল ডিজিজের লেশনের বিশাল কালেকশন থেকে জানার সুযোগ
১৪।প্যাক্টিকেল ও থিওরী পড়াশুনার সুযোগ।
১৫।পোল্ট্রি হলো ৮০% ব্যবস্থাপনা এই ব্যবস্থাপনার উপর দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ।
১৬।ফিল্ডে যাদের সাথে কাজ করতে হবে যেমন ডাক্তার, ডিলার,খামারী , মেডিসিন কোম্পানীর প্রতিনিধি ও কোয়াক তাদের
সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নেয়া বিশেষ করে ডিলার ,খামারী ,মেডিসিন কোম্পানীর এম এর ও কোয়াক যারা ভুল চিকিৎসা
দেয় এদের ভুল ত্রুটি সম্পর্কে অবগতি হয়ে সম্মানের সহিত সেবা দেয়া।
১৭।পোল্ট্রি ও ডেইরী শিল্পের উপর বিস্তারিত ধারণা নেয়া।
১৮।থিওরী পড়াশুনাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করার সুযোগ।
১৯।কঠিন বিষয়কে সহজ করে শিখার সুযোগ।
২০।ডিভিএম দের কোথায় কোথায় জবের সুযোগ আছে তার সম্পর্কে জানার সুযোগ।
২১।ফিল্ডের কঠিন বাস্তবতা মোকাবেলা করার কৌশল জানতে।
২২।চাকরী জীবনের ভয় ভীতি দূর করার পদ্ধতি জানার সুযোগ।
২৩।কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায় তার সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার সুযোগ।
ডা মো সোহরাব হুসাইন
মরজাল,নরসিংদী
বিভিন্ন ক্যাম্পাসের ছাত্রদের নাম ও মোবাইল নাম্বার দিয়েছি। তাদের সাথে সাধারণ ছাত্র ছাত্রী কথা বলবে,প্রতিনিধিরা আবার শিক্ষকদের সাথে কথা বলবে।
আমি যথেস্ট ব্যস্ত তবু ছাত্র ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে এই কস্টটুকু করতে রাজি।
1.BSMRSTU:Utshab Saha 01715658681
2.CVASU :Shaifur Saikot
3.SAU: Adnan 01680442930
4.HSTU: Akter 01780 586798
5.JGVC: 01712 014554 Shahriar Ahmed Shrabon
6.PSTU: 01701 513136.abdullah Al mamun Ashik
সব ক্যাম্পাসের নাম্বার আমার কাছে নেই।
পড়াশুনা শেষ করে চাকরিতে জয়েন্ট দিয়ে ভাল কিছু শিখা কঠিন ।
আমরা কোথায় কোথায় থেকে প্যাক্টিকেল জিনিস শিখি নিন্মে তার কিছুটা ধারণা দেয়া হলো
১। বই পড়ে ও ইন্টারনেটে খোঁজে ৫% জানা যাবে
২।বিভিন্ন গ্রোপে আলোচনা করে( ছবি , ভিডিও্, হিস্ট্রি,ক্লিনিকেল সাইন,পোস্টমরটেম সহ) ১৫%
৩।মোবাইলে কারু সাথে কন্ট্রাক করে ৫%
৪।ডি ভি এম পড়ে ১৫%
৫।ইন্টারনী ১৫%
৬।চাকরী করতে গিয়ে বাকি টুকু(যার যার যোগ্যতা,ইচ্ছা,সুযোগ,পরিশ্রম ও লোকেশন অনুযায়ী)
বিভিন্ন ভাবে আমরা যা শিখতেছি তা গড়ে পোল্ট্রির ৫০% কারূ কম কারূ একটু বেশি।আমাদের জানা উচিত ছিল ৮০%।
এখানে রেঞ্জ টা খুব বেশি কেউ ৩০% কেউ ৪০ কেউ ৫০% ,কেউ ৬০ কেউ ৮০% জানে।
লেখায় যদি ভুল হয়ে থাকে ক্ষমা করে দিবেন।
আমার ভাবনা গুলোই তুলে ধরছি।