#ঔষুধি_গুনে_ভরা_বাসক_প্রাকৃতিক_রোগ_সুস্রোষাকারী
বাসক একটি ভারত উপমহাদেশীয় ভেষজ উদ্ভিদ। এ উদ্ভিদটির বৈজ্ঞানিক নাম আড়াটোডা বাসিকা বোটানিকাল নাম: Adhatoda vasica
পরিবার: Acanthaceae
ব্যবহৃত অংশ : পাতা, শিকড়, ফুল ও বাকল
বাসক পাতার নির্যাস বেশি নিরাপদ । নিরাপদ বিবেচনা কারণ এর তেলে বিষাক্ততার পরিমান কম ।ভারত উপমহাদেশের প্রায় সর্বত্র এটি জন্মে। হিন্দীতে এক বলা হয় ‘আডুসা’, ‘বানসা’ অথবা ‘ভাসিকা’। তবে সংস্কৃত নামের ভিত্তিতে এটির ব্যবসায়িক নাম “বাসক”। আর্দ্র, সমতলভূমিতে এটি বেশি জন্মে। লোকালয়ের কাছেই জন্মে বেশি।
বাসক আয়ুর্বেদশাস্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেষজ উদ্ভিদ। তাজা অথবা শুকনো পাতা ওষুধের কাজে লাগে। বাসকের পাতায় “ভাসিসিন” নামের ক্ষারীয় পদার্থ এবং তেল থাকে। শ্বাসনালীর লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় করে বলে বাসক শ্লেষ্মানাশক হিসেবে প্রসিদ্ধ । বাসক পাতার নির্যাস, রস বা সিরাপ শ্লেষ্মা তরল করে নির্গমে সুবিধা করে দেয় বলে সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালীর প্রদাহমূলক ব্যাধিতে বিশেষ উপকারী। তবে অধিক মাত্রায় খেলে বমি হয়, অন্তত: বমির ভাব বা নসিয়া হয়, অস্বস্তি হয়। পানির জীবাণু মুক্ত করতে, হাত-পা ফুলে গেলে, চামড়ার রং উজ্জ্বল করতে এ গাছের উপকারিতা অনেক। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় বাসকের ভেষজ গুণাবলি প্রমাণিত হয়েছে।
এছাড়া বাসকের পাতা সবুজ খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং পাতা থেকে হলদে রং পাওয়া যায়। বাসক পাতায় এমন কিছু ক্ষারীয় পদার্থ আছে যায় ফলে ছত্রাক জন্মায় না এবং পোকামাকড় ধরে না বলে ফল প্যাকিং এবং সংরক্ষণ করার কাজেও ব্যবহৃত হয়।বাসক পাতার রসে বিষাক্ত তেলের পরিমাণ কম তাই এটা খুব বেশী নিরাপদ।
প্রাচীন কাল থেকেই গাছ-পালার ব্যাবহার অনস্বীকার্য। গাছ-পালার রয়েছে কিছু ঔষধী গুণাগুণ। এই ঔষধী গুণাগুণ আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়। এমনই ঔষধী গুণাগুণ সম্পন্ন গাছ হল বাসক। পোলট্রি ও পাখি পালন বেবস্থাপনায় বাসক ব্যবহারের উপকারিতার কিছু কথা জেনে নেয়া যাক—–
☘️ পোলট্রি ও পাখির সর্দি কাশি ,চোখ ফোলা ও জ্বর নিরাময়ে ব্যপক কার্যকরী ভুমিকা পালন করে।
☘️ পোল্ট্রি ও পাখির গায়ে উকুন বা অন্যান্য পোকা মুক্ত করতে বাসকের জুড়ি নেই।
? বাসক পাতার রস বা পেস্ট পানিতে পোলট্রি বা পাখিকে নিয়ম করে খাওয়ালে ,পক্স বা বসন্ত রোগ হওয়া থেকে বিরত রাখে।
☘️ পক্স বা বসন্ত ও যেকোনো গুটিতে প্রাথমিক অবস্থায় বাসক পাতা ও হলুদ বেটে প্রলেপ দিলে ফোলা ও ব্যথা কমে যায়।
☘️ পোল্ট্রি ও পাখির বুকে কফ এবং এর জন্য শ্বাসকষ্ট হয় বা কাশি হয় তখন বাসক পাতার রস মধুসহ কুসুম গরম পানিতে খাওয়ালে, কফ সহজে বেরিয়ে আসে।
☘️ বাসকের কচিপাতা ও হলুদ এক সঙ্গে বেটে পোল্ট্রি বা পাখির ঘা বা ক্ষত বা কাটা ছেড়া বা পোকামাকড় এর কামড় জনিত ক্ষততে লাগালে কয়েক দিনের মধ্যে তা সেরে যায়।
☘️ পোল্ট্রি ও পাখির খাওয়ার পানিতে বাসক পাতা ফেলে কয়েক ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর সেই পানি বিশুদ্ধ হয়ে যায়। এরপর ব্যবহার করতে রোগের আশঙ্কা থাকে না।
☘️ পোল্ট্রি ও পাখির ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ প্রতিরোধে ও প্রতিকারে বাসক অবিশ্বাস্য পারদর্শী।
☘️ কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে ও পেটের সমস্যা দূর করে।
☘️ পোল্ট্রি ও পাখি রাখার জায়গায় বাসক পাতা সিদ্ধ পানি বা পাতা মিস্ত্রিত পানি স্প্রে করলে পোকামাকড় সহ জীবাণু নাশ করা সম্ভব।
☢️☢️ব্যবহার বিধি☢️☢️
↪️ বাসক পাতার রস ১ চা চামুচ ১ লিটার পানিতে (৫ মি লি)+(১ চা চামুচ মধু)।
↪️ বাসক পাতার গুঁড়া ১চা চামুচ ১ লিটার পানিতে (৫ গ্রাম)।
↪️ বাসক পাতা বাটা ১চা চামুচ ১লিটার পানিতে ।
⚠️⚠️সতর্কীকরণ⚠️⚠️
↪️ বাসক পাতা অবশ্যই রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিতে হবে।
↪️ বাসক পাতার গুঁড়ো 2 মাসের বেশি সংরক্ষণ করা যাবে না।কারণ এতে গুনা গুন নষ্ট হয়ে যায়।
↪️ ভেষজ মিশ্রিত পানি ৬ ঘন্টার বেশি রাখা যাবে না।
নিয়মিত বাসক পাতা ব্যবহারের ফলে খামারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ব্যাপক উপকার পাওয়া সম্ভব।সবচেয়ে বড় বেপার ওষুধের খরচ কমে যাবে অধিক অংশে।
প্রকৃতিতে সব রকম রোগের ওষুধ ই বিদ্যমান।।এবং বাসক হলো প্রাকৃতিক সেবিকা⛑️,যিনি বিনা ফি এবং কোনো রকম পার্শপতিক্রিয়া ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
তাই আমাদের উচিত বাসকের ব্যবহার বাড়িয়ে,উপকৃত হওয়া।।প্রয়োজনে খামারে আসে পাশে বাসকের গাছ লাগানো।।
???Accept nature’s gift ,, be and keep healthy?️?️?️?️???
Compiled and originated by
Joya K Ahmed