মহাঔষধি_মেথি_রোগ_নিরাময়ের_প্রাকৃতিক_নিদানশালা

মেথিতে রয়েছে—প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, আয়রন, কপার, ভিটামিন ‘সি’, নিয়াসিন ইত্যাদি। এগুলো ছাড়াও এতে রয়েছে ডায়োজেনিন এবং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন হরমোন।মেথিতে থাকা ‘সাপোনিস’ বা ‘ডাইওসজেনিন’ নামের যৌগ পদার্থ হরমোনের স্তর বা এর পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

কিন্তু এই মেথি (Fenugreek) যে শুধুমাত্র মশলা নয় তা হয়তো অনেকেরই অজানা। এর ঔষুধিগুণ এত বেশি যে, তা বলে শেষ করা যাবে না।পোল্ট্রি খামার ব্যবস্থাপনায় ভেষজ ঔষধি মেথির গুরুত্ব অপার,,,
আসুন জেনে নেই মেথির কিছু উপকারিতার কথা——-

?নিয়মিত মেথি পোল্ট্রিকে খাওয়ালে ঠান্ডা লাগা,নাকে ময়লা জমে ফুলে যাওয়া,এসব হতে পারবে না।

? লেবুর রস ও মধুর সঙ্গে মেথি খাওয়ালে পোল্ট্রির জ্বর সেরে যায়। (১চা চামুচ লেবুর রস+১চা চামুচ মধু+১ মেথির গুঁড়ো বা পেস্ট ১ লিটার পানি)

? যেকোন ক্ষত জায়গা,আঘাত জনিত জায়গা, পক্স বা বসন্তের ওপর মেথির প্রলেপ জাদুকরী ভূমিকা পালন করে সারিয়ে তোলে।

? মেথি আঁশ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর যা হজমে সহায়তা করে প্রতিদিন সকালে খাবার দেবার আগে মেথির গুঁড়ো বা পেস্ট পানিতে খাওয়ালে হজমশক্তি বৃদ্ধি ঘটে।

? মেথিতে আয়রনের পরিমান খুব বেশি তাই নিয়মিত মেথির ব্যবহার পোল্ট্রির শরীরের রক্তে বৃদ্ধি করে, শরীরকে রাখে সতেজ। রক্তের উপাদানগুলোকে করে উদ্দীপ্ত। ফলে পোল্ট্রি প্রাণবন্ততা ও উচ্ছলতা বৃদ্ধি পায়।

? সকালে খাবার দেবার আগে (১ চা চামুচ ১ লিটার পানি) মেথির গুঁড়ো বা পেস্ট খেলে কৃমি দূর হয় ,শুধু তাই নয় কৃমি হতে দেয় না।

? নিয়মিত মেথি ব্যবহারে পোল্ট্রির মলে গন্ধ তুলনামূলক কম হয়।

? মেথি বীজে ফাইবার, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা পোল্ট্রির শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিনবের করে দেয়।

? নিয়মিত মেথি খাওয়ানো শুরু করলে পোল্ট্রির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে, ছোট-বড় কোনো রোগই হতে পারে না। সেই সাথে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

? পোল্ট্রির পেটের সমস্যা,পেট ফাঁপা,হজম না হওয়া দূরীকরণে মহাওষুধির ভূমিকা পালন করে।

?পোল্ট্রির গালে ঘা বা ইফেকসন হওয়া জায়গা গুলো উপসমকারী হলো এই জাদুকরী মেথি।

? মেথি মৌসুমি রোগগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।সেই সাথে ডিমের উৎপাদন বাড়ায়।(সপ্তাহে ৩-৪দিন)।

⚠️⚠️ সতর্কিকরণ ⚠️⚠️মেথি কখনোই চুলায় টেলে ভেজে গুঁড়া করা যাবে না।তাহলে মেথির গুনাগুন নষ্ট হয়ে যাবে।মেথি রোদে ভালো করে সুকিয়ে তারপর গুঁড়ো করে সংরক্ষণ করতে হবে।এতে মেথির গুনা গুন ভরপুর বিদ্যমান থাকবে। তা না হলে পাটায় বা ব্লেন্ডারে পেস্ট কোনো নিতে হবে। তবে গুঁড়ো করে রাখাই বেশি ভালো কারণ অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়।

নিয়মিত মেথির ব্যবহারের ফলে খামারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ব্যাপক উপকার পাওয়া সম্ভব।সবচেয়ে বড় বেপার ওষুধের খরচ কমে যাবে অধিক অংশে।মেথির ব্যবহারে পোলট্রির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে এবং সুস্থ সবল ভাবে বেড়ে উঠবে।প্রকৃতিতে সব রকম রোগের ওষুধ ই বিদ্যমান।।এবং মেথি হলো প্রাকৃতিক রোগ পরিমাপক,, যে কোনো রকম পার্শপতিক্রিয়া ছাড়াই মহাওষুধির ভূমিকা পালন করে।
তাই আমাদের উচিত মেথির ব্যবহার বাড়িয়ে,উপকৃত হওয়া।।

???Accept nature’s gift ,, be and keep healthy?️?️?️?️???

Originated by Joya k ahmed