Breaking News
মুরগির ইমোনিটি,ইমোনোসাপ্রেশন
মুরগির ইমোনিটি,ইমোনোসাপ্রেশন

মুরগির ইমোনিটি কি,ইমোনোসাপ্রেশন কিভাবে হয় এবং কিভাবে দূর করা যায়

মুরগির ইমোনিটি(রোগ প্রতিরোধ)

ইমোনিটি হল মুরগির প্রতিরক্ষা যা ইমোইন সিস্টেম দ্বারা তৈরি হয়.

দুই ধরনের অংগ দ্বারা ইমোইন সিস্টেম তৈরি হয়.
ক.প্রাইমারি

বার্সা
থাইমাস

খ.সেকেন্ডারি

হার্ডেরিয়ান গ্র্যান্ড(চোখ)
সিকাল টনসিল

প্যায়ারস প্যাস(ইন্টেস্টাইন)
মাইকেলস ডাইবার্টিকোলাম

ইমোনিটি দুই ধরনের
১.স্পেসিফিক বা একোয়াড বা এক্টিভ

২.নন স্পেসিফিক বা ইনেট বা ন্যাসারাল বা ইনহেরেন্ট বা প্যাসিভ:
মুরগির মাতা হতে বাচ্চাতে যে ইমোনিটি আসে.

স্পেসিফিক বা এক্টিভ:
কোন এন্টিজেন বা জীবাণূ মুরগির শরীরে ঢুকার পর যে ইমোনিটি তৈরি হয়.

এটি দুই প্রকার

ক.সেল মেডিয়েটেড:

এন্টিজেন ঢুকার পর মেক্রোফেজ স্টিমোলেট হলে টি হেল্পার সেলের মাধ্যমে টি লিম্ফুসাইট হতে লিম্পোকাইন্স(প্রায় ৯০টি) (সাইটুকাইন্স) তৈরি করে.

এখানে দুই ধরনের সেল তৈরি হয়

টি মেমোরি
সাইটুটক্সিস টি সেল:এটি সেল এর ভিতরের ভাইরাস কে আক্রমণ করে.

খ.নন সেলোলার বা হিউমোরাল
এন্টিজেন শরীরে ঢুকার পর মেক্রুফেজ স্টিমুলেটেড হবার পর বি লিম্পুসাইট তৈরি হয় এবং লিম্পুকাইন্স তৈরি হয়(ইন্টারফেরন্স এবং ইন্টারলিউকিন্স).

ফলে বি মেমোরি এবং প্লাজমা সেল তৈরি হয়.

প্লাজমা সেল হতে এন্টিবডি তৈরি হয় এবং প্রত্যেক এন্টিজেনের বিরুদ্ধে কোষীয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সৃস্টি হয়.
যখন এন্টিজেন প্রয়োগে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সঠিকভাবে সাড়া জাগায় তখন অন্য লিম্পুসাইট যেমন অবদমনকারি (suppressor) টি লিম্পুসাইট এই পদ্ধতি বন্ধ করে দেয়.

রোগ প্রতিরোধ সাড়া মেমোরী কোষ তৈরি করে যাদের এই এন্টিজেন সনাক্ত করার সামর্থ্য আছে. তাই বুস্টার টিকায় তাড়াতড়ি টাইটার উঠে.

এন্টিবডি হল গ্লাইকোপ্রোটিন যা ইমোনোগ্লোবিন নামে পরিচিত.

এগুলো পাওয়া যায় রক্তে,টিস্যু ফ্লুইডে এবং সেক্রেশনে.

টোটাল প্লাজমা প্রোটিনের ২০% ইমোনোগ্লোবিন পাওয়া যায়

মুরগির তিন ধরনের ইমোনোগ্লোবিন

আই জি এম(Ig M): এটি মাতা হতে বাচ্চাতে আসে।
তৈরি হতে ৪-৫ দিন লাগে এবং ১০-১২ দিন থাকে.5-10%.এগুলি সবচেয়ে তাড়াতাড়ি আসে.

আই জি জি(Ig G)

এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূরণ.(৭৫%)
রক্তে এবং ইন্টা ও এক্সা ভাস্কুলারে পাওয়া যায়।
তৈরি হতে ৪-৫ দিন লাগে এবং ২১-২৫ দিন থাকে.

আই জি এ(Ig A)
সেক্রেটরি এন্টিবডি বলা হয়.এগুলি পিত্ত,চোখ,মিউকাস এবং শ্বাসনালিতে তৈরি হয়.তৈরি হতে ৫দিন লাগে.লোকাল প্রতিরক্ষা তৈরি করে.

মুরগিতে ইমোনুসাপ্রেশন কিভাবে হয়:




নন স্পেসিফিক বা ইনেট ইমোনিটির সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি

জেনেটিক ফ্যাক্টর
বডি তাপমাত্রা
এনাটমিক ফিচার
নরমাল মাক্রোফ্লোরা
রেস্পিরেটরি ট্রা্কের সিলিয়া
রোগের প্রতি রেজিস্টেন্ড সম্পন্ন মুরগি বাচাই করা.

 ব্যবস্থাপনা ভাল  না হলে নিম্ন লিখিত সমস্যা গুলি হতে পারে.
অযথা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হবে
মাইকোটক্সিন থাকবে
স্যানিটেশন ভাল হবে না।
খাবারের পুস্টিমান ভাল হবে না ফলে জীবাণূ মুরগির প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেংগে ফেলে.

ইমোনিটি ভাল না হলে

বার্সা ছোট হয়
সমতা নষ্ট হয়
মৃত্যহার বাড়ে
মুরগির পারফরমেন্স খারাপ হয়
টিকার ভাল এন্টিবডি তৈরি হয়না
জী্বাণূর আক্রমণ বেড়ে যায়.

কেন ইমোনিটি খারাপ হয়

জীবাণূর আক্রমণ
ব্যবস্থাপনার হঠাৎ পরিবর্তন
(খাবার,পানি এবং তাপমাত্রা খুব বেশি বা কম)
বায়োসিকিউরিটি খারাপ হলে
পুস্টিমান খারাপ হলে

আবহাওয়াঃ

অধিক শীত বা গরম

ফিজিওলজিঃ

ডিম পাড়ার আগ মুহুর্তে,অধিক প্রডাকশন

পরিবেশ
সেডে বেশি আলো ও তাপমাত্রা,ধূলা বা যে কোন ধকলে স্টেস হরমোন তৈরি হয় যেমন করটিকোস্টেরন যা স্পিলন, বারসা ও থাইমাসের ক্ষতি করে ফলে ইমোনিটি কমে যায়।

ভেন্টিলেশন ভাল না হলে

্মুরগি ঘন হলে

পুস্টিমান খারাপ হলেও রোগের  আক্রমণ বেড়ে যায়

ভাল জীবানু কমে গেলে হজম কম হয় এবং এমোনিয়া বেড়ে আয় ফলে শ্বাসনালির সিলিয়া এবং ইপিথেলিয়াম নষ্ট হয় তাই ইমোনিটি কমে.

পুস্টি

হঠাত খাবারের পরিবর্তন

ইমোনিটি সম্পন্ন মুরগি সহজে রোগে আক্রান্ত হয়না
সামান্যতম পুস্টিমানের ঘাটতি হলে মুরগি রোগের প্রতি সেনসিটিভ হয়ে যায় কারণ মুরগি ইমোনিটি তৈরি করতে পারেনা।

মুরগি কম খাবার খেলে কম পুস্টি পায় ফলে ইমোনিটি কম হয়.

ভিটামিন

ভিটামিন ই

এটি সেল মেমব্রেন রক্ষা করে.
ফ্যাট,তেল এবং প্রাণী প্রোটিন খেকে ফ্রি রেডিকেল তৈরি হয় যা ইমোন অংগ এবং সে্ল   মেমব্রেন ক্ষতি করে.
ভিটামিন ই ফ্রি অক্সিডেটিভ বা ফ্রি রেডিকেলকে দূর করে রোগপ্রতিরোধক অংগকে রক্ষা করে.
ভিটামিন ই এরাসিডনিক পরিপাক করে  সাইক্রুক্সিজিনেজ এবং লিপোক্সিজিনেজ প্রসেস দ্বারা যা প্রোস্টাগ্লান্ডিন এবং লিউকোটিয়েন্সস তৈরি করে.

ভিটামিন শ্বেেতকণিকা এবং ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে,এটির ঘাটতি হলে ধকলের সময় করটিকোস্টেরন তৈরি হয় যা ইমোনিটি নষ্ট করে.

ভিটামিন এ

ভিটামিন এ এর অভাব হলে এন ডি টাইটার এবং টি সেল রেসপন্স কমে যায় ফলে রানিক্ষেত,নেক্রোটিক এন্টারাইটিস,আমাশয়,আই বি এবং মাইকোপ্লাজমা বেড়ে যায়.

এমাইনো এসিড (আরজিনিন) ইমোনিটি ভাল করে  মেক্রোফেজ  দ্বারা নাইট্রিক এসিড তৈরি করার মাধ্যমে.

ফলে

লিমফোসাইট বেড়ে যায়
থাইমাসের ওজন বেড়ে যায়
ক্ষত শুকায়
টিউমার ভাল হয়

অতিরিক্ত মেথিওনিন ইমোনিটি কমিয়ে দেয়.

তাছাড়া জিংক,সেলেনিয়াম, রিবোফ্লেবিন,পেন্টোথেনিন এবং পাইরুডক্সিন ইমোনিটি বাড়ায়.

বায়োসিকিউরিটি

বায়োসিকিউরিটি খারাপ হলে জীবাণূ আক্রমণ করে ধকল তৈরি করে ফলে ইমোনোসাপ্রেশন হয়.
যেমন
আই বি ডি,চিকেন ইনফেক্সাস এনিমিয়া,মেরেক্স,রিও ভাইরাস,এন ডি,এ আই বংশ বৃদ্ধি করে রোগপ্রতিরোধক অংগে.

মাইকোটক্সিন
ভুট্রা,গম,চাল এবং পিনাট মিলের ক্ষতি করে.
এসপারজিলাস হতে আফ্লাটক্সিন তৈরি হয়.
এটি ইমোইন সেলকে ধংস করে এন্টিবডি প্রডাকশন কমিয়ে দেয় ফলে টিকা ভাল কাজ করেনা,
এটি ফ্যাগোসাইটোসিস কমিয়ে দেয় এবং বারসা,স্পিলন,থাইমাসকে ধংস করে ও হেপাটোটক্সিসিটি করে.

পেনিসিলিয়াম হতে অক্রাটক্সিন তৈরি হয়, এটি সেল মেডিয়েটেড এবং হিউমোরাল ইমোনিটি নষ্ট করে ও নেফ্রোটক্সিক.

ফুসারিয়াম হতে টাইকু্থেসেনস তৈরি হয় যা ইমোনিটি নষ্ট করে.
এটি স্টং টিসু ইরিট্রেং এবং মিউকোসাল মেমব্রনের ইন্টিগ্রিটি নষ্ট করে.
প্রোটিন তৈরিতে বাধা দেয় ফলে এন্টিবডি তৈরি হয়না এবং ইমোনুসাপ্রেসন হয়.

এই ইমোনোসাপ্রেশন দূর করা যাবে

যদি

ব্যবস্থাপনা  ভাল হয়
সঠিক পরিবেশ হয়
ভাল পুস্টিমান সম্পন্ন খাবার হয়
সঠিক সময়ে সঠিক টিকা সঠিক ভাবে   দেয়া হয় ।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

টিকা দেয়া পরও কেন রোগ হয়/ভ্যাক্সিন ফেইলরের কারণ

টিকা দেয়া পরও কেন রোগ হয় বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে নিচে আলোচনা করা হল ক।টিকার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »