মহিষের দুধ ও মাংসের পুষ্টিগুণ
===================
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগসহ (ইউএসডিএ) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় দেখা গেছে, গুণগত মানের দিক দিয়ে গরুর দুধ ও মাংসের তুলনায় মহিষের দুধ ও মাংস বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।
মহিষের দুধে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা মানবশরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
মহিষের দুধ ঘন ও ননিযুক্ত হওয়ায় এটি ইয়োগার্ট বা দই, পনির, ননিযুক্ত মিষ্টি উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
এছাড়া ঘি, মাখনসহ বিভিন্ন দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদনেও এর জুড়ি নেই। এছাড়া গরুর দুধের তুলনায় মহিষের দুধ অনেক বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়।
মহিষের মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ মুরগির চেয়েও কম। এতে ক্যালরি ও প্রয়োজনীয় চর্বিজাতীয় উপাদান গরুর দুধের তুলনায় অনেক বেশি।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ খনিজ এবং ভিটামিনের উপস্থিতির কারণে মহিষের দুধ গরুর তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যসম্মত ও বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক।
খাদ্য বিশেষজ্ঞরা দেখিয়েছেন, মহিষের দুধে গরুর দুধের তুলনায় ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাসের মাত্রা যথাক্রমে ৯২, ৩৭ দশমিক ৭ ও ১১৮ শতাংশ বেশি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন মহিষের মাংসের চাহিদা বাড়ছে। মহিষের মাংস গরুর তুলনায় কিছুটা শক্ত, তবে বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। উভয় মাংসের স্বাদ প্রায় একই রকম হলেও, মহিষের মাংসে প্রোটিন তুলনামূলক অনেক বেশি।
গরুর মাংসে চর্বির পরিমাণ ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হলেও, মহিষের মাংসে তা মাত্র ২ শতাংশ। অন্যদিকে গরুর তুলনায় মহিষের মাংস কম লাল।