Breaking News

ভেড়ার পশম: সম্ভাবনাময় সম্পদ

ভেড়ার পশম: সম্ভাবনাময় সম্পদ >>

বাংলাদেশে বর্তমানে ভেড়ার সংখ্যা ৩৪ লাখ ৬৮ হাজার। দেশি ভেড়ার পাশাপাশি বাড়ছে উন্নত জাতের গাড়ল পালন। আমাদের দেশে ভেড়ার পশমের কোন বানিজ্যিক ব্যবহার নাই বিধায় এই খাতে খামারিদের কোন আয় হয়না।
১টি দেশি ভেড়া থেকে একবারে পাওয়া যায় ২০০ গ্রাম পশম। গাড়ল থেকে পাওয়া যায় ৪০০ গ্রাম।
২০০ গ্রাম পশম পানি দিয়ে উত্তমরুপে পরিষ্কার করে রৌদ্রে শুকিয়ে পাওয়া যায় ১০০গ্রাম পরিশুদ্ধ পশম। আমাদের দেশের আবহাওয়ায় বছরে ৩বার ভেড়ার পশম সংগ্রহ করা যায়। অর্থাৎ ১টি দেশি ভেড়া থেকে বছরে ৩০০ গ্রাম পরিশুদ্ধ পশম আহরণ করা সম্ভব।
৪.৫হাতx২.৫ হাত একটি কম্বল তৈরি করতে ২কেজি পশমের দরকার হয়।
আজ চাপাই নওয়াবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার নয়াগোলা গ্রামের ৬২ বছর বয়সী জনাব মো. আ. খালেকের সাথে আলাপ হলো। তিনি বংশ পরম্পরায় পশম দিয়ে কম্বল, মাফলার, পাপোশ, জায়নামাজ ও পূজার আসন তৈরি করে আসছেন। জনাব খালেক জানান যে, তিনি ৪.৫ হাত x ২.৫ হাত মাপের প্রতিটি কম্বল আড়ং, অরন্য এবং হ্যান্ড টাচের নিকট পাইকারি ২১৫০ টাকা দামে বিক্রি করেন।
এবার আমরা একটু হিসাব নিকাশ করে দেখি —
বাংলাদেশের বার্ষিক মোট সম্ভাব্য পরিশুদ্ধ পশম উৎপাদন = ৩৪৬৮০০০x০.৩ কেজি= ১০৪০৪০০ কেজি; যা দিয়ে ৫২০২০০ টি কম্বল তৈরি হতে পারে।
প্রতিটি কম্বল ২০০০ টাকা দরে বার্ষিক সম্ভাব্য মোট আয় ১০৪,০৪,০০,০০০ টাকা।
অর্থাৎ আমাদের দেশি ভেড়া থেকে আহরণযোগ্য পশম পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে পারলে বছরে এই অপ্রচলিত খাত থেকে শত কোটি টাকার উপরে জিডিপিতে যোগ হতে পারে। এর অর্থনৈতিক অবদান আরও অনেক বেশি হবে।
গাড়লের পশম হিসাব করলে অবদান আরও বেশি হবে।
It’s time to explore the way to utilize this huge hidden/unused potential resource.

Dr  Nanda Dulal Tikader

Please follow and like us:

About admin

Check Also

দুধের ল্যাক্টোফেরিন

ল্যাক্টোফেরিন হলো একটি আয়রন সমৃদ্ধ প্রোটিন। সর্বপ্রথম ১৯৩৯ সালে গরুর দুধে এই প্রোটিনের সন্ধান মেলে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »