Breaking News

বিশ্বের শীর্ষ ১০ হিংস্র প্রাণীদের বণর্না

বিশ্বের শীর্ষ ১০ হিংস্র প্রাণীদের বণর্না
১. বক্স জেলিফিশঃ
box-jelly-fish
সাম্প্রতিক একটি জরিপে পৃথিবীল সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণী হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান বক্স জেলিফিশের নাম ঘোষণা করা হয়েছে । বক্স জেলিফিশ, যা সম্ভবত জেলিফিশের সকল প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর । এটা অনেকটা স্বচ্ছ পর্দার মত । এটা প্রায় ১৫ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে । এটা ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত প্রাণী’ হিসেবে পরিচিত । এক একটি জেলিফিশে যে পরিমান বিষ থাকে, তা ৬০ জন মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট । বক্স জেলিফিশের বিষ আক্রন্তের হৃৎপিন্ড, স্নায়ুতন্ত্র ও ত্বকের কোষকে আক্রমণ করে ।
২. কোণ শামুকঃ
কোণ-শামুক
কোণ শামুক দেখতে কোণ আইসক্রিমের মতোই । সব কোণ শামুকেই বিষাক্ত, তবে এদের মধ্যেও সেরা হলো মার্বেল-কোণ শামুক । এদর খোলসটা দেখলে মনে হয়, মার্বেল পাথর দিয়ে মোজাইক করা হয়েছে । তাই এদের এমন নাম । এদের দেখা যায় অস্ট্রেলিয়ার গরম লবণাক্ত সামুদ্রিক জলরাশিতে । এদের দেখতে খুবেই সুন্দর । তারপরও বিষধর প্রণীদের তালিকায় যে এদের স্থান দ্বিতীয় অবস্থানে ।
৩. ব্ল্যাক মামবাঃ
black-mambo-snake
পৃথিবীর দ্রুততম, তেজস্বী ও মারাত্মক বিষধর সাপ হলো ব্ল্যাক মামবা । এরা যখন ভয় পায়, তখন প্রচন্ড আক্রমণাত্মক হয়ে থাকে । আফ্রিকার পুরানে এদের নিয়ে অনেক অতিরঞ্জিত গল্প রয়েছে । এ সকল কারণে ব্ল্যাক মামবাকে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী সাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয় । দক্ষিণ ও পূর্ব আফ্রিকার শক্ত ও পাথুড়ে পাহাড়ি অন্চলে ব্ল্যাক মামবার বসবাস । এটা আফ্রিকার দীর্ঘতম সাপ, যা লম্বায় গড়ে ৮.২ ফুটেরও (২.৫ মিটার) বেশি হয়ে থাকে । কখনো কখনো ১৮ফুট (৪.৫ মিটার) দীর্ঘ ব্ল্যাক মামবার দেখাও পাওয়া যায় । ব্ল্যাক মামবা পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন সাপ । এদর গতিবেগ ঘন্টায় ২০ কিলোমিটার বা ১২.৫ মাইল । পৃথিবীর ভয়ঙ্কর প্রাণীদের মধ্যে এর অবস্থান তৃতীয়তে ।
৪. কেপ মহিষঃ
cape-african-buffalo
কেপ বাফালো নামের যে বুনো মহিষ আফ্রিকার তৃণভূমি প্রান্তরে রাজত্ব করে, সে যেন সাক্ষাৎ জমদূত । অমিত শক্তিধর এই প্রাণীটির মতিগতি বোঝা বড় দায় । একে মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক এক প্রাণী বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রাণীবিদরা । মানুষ হাতিকে পোষ মানানোর কথা চিন্তাই করতে পারেনি কখনো । এটা দেখতে ব্ল্যাক মামবার মতই কালো । এর ওজন ২০০০ পাউন্ডের চেয়েও বেশি হয়ে থাকে । এরা সিংহের মতই আক্রমণাত্মক প্রাণী ।
৫. সাইফু পিঁপড়াঃ
siafu-ants
এই ধরনের পিঁপড়াকে ড্রাইভার পিঁপড়াও বলা হয় । এরা সবসময় ঝাকেঁ ঝাকেঁ চলাফেরা করে । প্রতিটি ঝাকেঁ প্রায় ৫ কোটি পিঁপড়া থাকে । ৭ কোটি বছর আগেও পৃথিবীতে এ ধরনের পিঁপড়া ছিল । এরা হলো দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার প্রাপ্ত ড্রাইভার অ্যান্ট, যাদের মাংসাশী পিঁপড়া বলেও অভিহিত করা যায় । এদরে কয়েক কোটি পিঁপড়া দল বেঁধে বড় যে কোনো প্রাণীকে খেয়ে ফেলে ।
৬. মরণ কাঁকড়া বিছেঃ
death-stalker-scorpion
পৃথিবীর সবচাইতে হিংস্র প্রণীদের মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছে ডেথ-স্টকার বা মরণ কাঁকড়া বিছে । আমাদের দেশে যে ধরনের কাঁকড়া পাওয়া যায়, ডেথ-স্টকারও দেখতে অনেকটা সে রকমেই । তবে বিষধর হিসেবে করলে এরা কিন্তু অনেক ভয়ংকর ! সাধারণত আমাদের দেশি কাঁকড়া বিছের কামড়ে কারও মৃত্যু হয় না । সামান্য জ্বালাপোড়া হয় মাত্র । কিন্তু মরণ কাঁকড়া বিছের বিষে অসহ্য ও তীব্র ব্যথা হয়, জ্বরও হয় । ফলে প্রাণী অচেতন হয়ে শেষে মারা যায় । এদের পাওয়া যায় উত্তর আফ্রিকা আর মধ্যপ্রাচ্যের মরু এলাকায় ।
৭. পটকা মাছঃ
tertradontidae-type-of-fish
এটি মহাসাগর নিবাসী সবচেয়ে মারাত্মক প্রাণীদের একটি । পটকা মাছ Tetradontiformes বর্গের Tertradontidae গোত্রের বেলুনাকৃতি মাছ । তারা খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু বেশ বিপজ্জনক । তাদের কাঁটা বিষ বহন করে । তারা যখন কোনো প্রাণী দ্বারা আক্রন্ত হয় তখন কাঁটা দিয়ে বিষ ছাড়ে । এ বিষের ফলে অন্য প্রাণীর শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এবং শরীর অসাড় হয়ে মারা যায় এর বিষে ইতিমধ্যে অনেক মানুষও মারা গেছে ।
৮. হায়েনাঃ

হিংস্র প্রাণীল তালিকায় হায়েনার অবস্থান সপ্তমে । এটি এক ধরনের বন্য মাংসশী প্রাণী । এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশে এদের দেখা যায় । স্তন্যপায়ী শ্রেণির শ্বাপদ বর্গের হায়েনার পরিবার ‘হায়েনিডে’র সদস্যরা দেখতে ক্যানিডে অর্থাৎ কুকুর পরিবারের সদস্যদের (কুকুর, শেয়াল, নেকড়ে) মত হলেও আসলে হল বেজি, নেউলে ইত্যাদি সমন্বিত নকুল পরিবারের (হার্পেস্টিডে) নিকটতর । এরা এতোটাই ভয়ংকর প্রাণী যে, মাঝে মধ্যে এরা বাঘও শিকার করে থাকে ।
৯. স্টোনফিসঃ

স্টোনফিস নামের এই প্রাণীকে এই গ্রহের সবচেয়ে বিষধর প্রাণী বলা হয় । এরা সমুদ্রের তলদেশে থাকা নানা রকম পাথরের ভাঁজে নিজেকে নিপুণভাবে আড়াল করে রাখার ক্ষেত্রে পারদর্শী এবং পাথরের ছদ্মবেশ ধারণ করে সবার চোখকে ফাঁকি দিতে পারে । এই প্রাণীর শরীরে ছড়ানো ছিটানো রয়েছে বিষাক্ত কাঁটা । এই কাঁটা হাঙ্গর ও অন্যান্য ভয়ংকর প্রাণীর হাত থেকে তাকে রক্ষা করে । এই কাঁটার আঘাতে ভিকটিমের হৃদপিন্ডের কর্যক্ষমতা লোপ পায় এবং শরীর দ্রুত নিস্তেজ হয়ে আসে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে ।
১০. মানুষঃ
পৃথিবীর সবচাইতে ভয়াবহ প্রাণীর তালিকায় দশ নম্বরে রয়েছে মানুষের নাম। যদিও মানুষের শরীর বিষাক্ত পদার্থ নেই, কিন্তু তারা সবচাইতে বুদ্ধিমান প্রাণী । তারা নিজেদের বুদ্ধি দিয়ে তৈরি করেছে বোমা, গোলা, বারুদ, বন্দুক, মিসাইল, জাহাজ ও উড়োজাহাজ । পৃথিবীর কোনো প্রাণীই মানুষের কাছে নিরাপদ নয় ।
-সূত্র: কন্সারভেশন ইন্সটিটিউট

Please follow and like us:

About admin

Check Also

বিলুপ্তপ্রায় পাঁচটি প্রাণী- রাজশকুন, ঘড়িয়াল, মিঠাপানির কুমির, নীলগাই এবং শুশুক

বর্তমান সময়ে জীববৈচিত্র্য পড়েছে মহা সংকটে। ইতোমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে তালিকাভুক্ত অসংখ্য প্রজাতির উদ্ভিদ ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »