পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিনস পাঠ -২
৬।নিকোটিনিক এসিড
উৎস ঃভুট্রা ও সয়াবিন মিল
নায়াসিনের ঘাটতি কেন হয়
শস্যবীজ ও তেল্বীজে নিকোটিনিক এসিড থাকা অবস্থায়ো মুরগির শরীরে কাজ আ সে না
নিকোটিনিক এসিড অন্ত্রে কম শোষিত হলে
মিশ্রিত খাদ্যে অতিরিক্ত লাইসিন,আরজিনিন এবং গ্লাইসিন থাকলে এমানো এসিডের বিপাক ক্রিয়ায় বেশি নায়াসিনের প্রয়োজন হয় ফলে ঘাটতি পড়ে।
খাদ্য মিশ্ন ণ ভাল না হলে
দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করলে নস্ট হয়ে যায় ফলে ঘাটতি পড়ে
ধকলে পুস্টি থেকে বেশি শক্তির প্রয়োজন হয় ফলে যার যোগান দিতে বেশি বিপাক ক্রিয়া ঘটে
নায়াসিনের কাজ কি
শর্করা ,আমিষ ও চর্বির বিপাক ক্রিয়া ঘটায়।৪০টি বিপাক ক্রিয়া ঘটায়
শর্করা বিপাক ক্রিয়ায় গ্লাইকোলাইসিস,ফ্যাটি এসিড সংশ্লেষণ ও টি সি এ চক্রের জারণ ক্রিয়া
লিপিড বিপাক ক্রিয়ার গ্লাইসেরণ সংশ্লেষণ এবং ভাংগা,ফ্যাটি এসিডের সংশ্লেষন জারণ ও স্টেরয়েড সংশ্লেষণ।
খাদ্যে যে শক্তি আছে তা বের করতে এবং কোষে সরবরাহ করতে সাহায্য করে।
বহিরাবরণ কলা(Dermal) পরিপাক ও অন্ত্রনালী ,স্নায়ু ত ন্ত্রের মধ্যে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
নায়াসিনের ঘাটতিতে মুরগির কি কি ক্ষতি হয়
বাচ্চা অবস্থায় শরীরের বৃদ্ধি ব্যহত হয়
এফ সি আর বেড়ে যায়
ডিম উৎপাদন কমে,ফুটার হার কমে
অন্ত্রনালীর প্রদাহ হয় এবং পাতলা পায়খানা হয়।
চামড়াতে ঘা হয়
রুচি কমে যায়
হক জয়েন্ট বড় হয়ে যায় এবং পা ধনুকের মত বাঁকা হয়।
চিকিৎসা ঃ৪০-৫০ এম জি/বাচাতে পানির মধ্যে দিতে হবে।
৭।প্যান্টোথেনিক এসিড
উৎস ঃচাকের কুড়া,গমের ভুষি।ভুট্রা ও সয়াবিনে কম আছে।
ঘাটতি কেন হয়
ব্রিডারের খাদ্যে ঘাটতি থাকলে বাচ্চাতে ঘাটতি হয়
স্টাস্টার ফিডে প্যান্টোথেনিক এসিডের ঘাটতি থাকলে
হাই এনার্জি সম্প ন্ন খাদ্য কম খেলে
পরিপাক তন্ত্রে রোগ হলে কম শোষিত হয়
ভিটামিন বি১২ এর ঘাটতি থাকলে
স্টোরেজ ঠিক মত না হলে
প্যান্টোথেনিক এসিডের কাজ কি
এন জাইম ও কো এন জাইম হিসেবে কাজ করে এবং শর্করা ,আমিষ ও চর্বি থেকে শক্তি উৎপন্ন করে
এন্টিবডি তৈরি এবং স্নায়ু ত ন্ত্রের কার্যক্রমে ভুমিকা পালন করে।
প্রধান বিপাকীয় কাজ ফ্যাটি এসিড,কোলেস্টেরল সংশ্লেষণ
সাইট্রিক এসিড চক্রে ভুমিকা রাখে।
ঘাটতিতে মুরগিতে কি কি ক্ষতি হয়
বৃদ্ধি কমে যায়,এফ সি আর বেড়ে যায়
লেয়ার ও ব্রিডারে ডিম কমে যায়
ভ্রূণ মারা যায় ফলে ফুটার হার কমে যায়
যে কোন রোগের প্রতি স ংবেদনশিলতা বেড়ে যায় এবং রোগ থেকে সেরে উঠতে সময় বেশি লাগে।
১ম সপ্তাহে বাচ্চা বেশি মারা যায়
চামড়ায় ক্ষত হয়
ভ্যক্সিন প্রয়ীগে ভাল ফল পাওয়া যায় না
পা অবশ হয়।
চিকিৎসা ঃ
পানিতে প্যান্টোথেনিক এসিড দিলে দ্রুত ফল পাওয়া যায় সাথে বি১২ দিলে ভাল।
৮ ফলিক এসিড
উৎস ঃখাদ্যে পর্যাপ্ত ফলিক এসিড পাওয়া যায় না
ঘাটতি কেন হয়
খাদ্যে না থাকার জন্য
এন্টিবায়োটিক দিলে উপকারী জীবানূ কমে যায় ফলে ফলিক এসিড তৈরি হয় না।
অন্ত্রনালী রোগাক্রান্ত হলে
খাদ্য পিলেড়িং করলে
বেশি আমিষযুক্ত খাদ্য দিলে বেশি ইউরিক এসিড তৈরি হয় ,এই কাজে ফ লিক এসিড ব্যব হার হ্য ফ্লে ঘাটতি হয়।আলফাটক্সিন খাদ্যের ফলিক এসিড নস্ট করে দেয়।
ফলিক এসিডের কাজ কি
কোষ বিভাজনের জন্য পিউইন ,নিউক্লিউক এসিডের পাইরিমিডিন উপাদান সংশ্লেষণে প্রয়োজন
রোগ প্রতিরোধ
আর বি সি তৈরি করে
ঘাটতি তে কি কি ক্ষতি হয়
বৃদ্ধি কমে যায় এবং এফ সি আর বেড়ে যায়
পালক গঠন ঠিক মত হয় না।
পা খোঁড়ায় এবং হক জয়েন্ট থেকে টেন্ডন সরে যায়(slipped tendon)
লেয়ার এবং ব্রিডারে ডিম কমে যায়
এনিমিয়া হয়
ভ্রুণ মারা যায়
হাড় এবং কার্টিলেজ ঠিক মত হয়না
এ ল বুমিন কম তৈরি হয়
রোধ প্রতিরোধ ব্যব স্থা ভাল হয় না ফলে ভ্যাক্সিন ভাল কাজ করে না
চিকিৎসা ঃ
পানির মাধ্যমে দিলে ঠি হয়ে যায়।
৯।কোলিন
মুরগির জন্য উৎস ঃ
শস্যদানা,সয়বিন তেল ও মিলে।সয়াবিন কোলিনের ভাল উৎস ঃগমে ভুট্রার দ্বিগুণ থাকে।
কোলিনের ঘাটতি কেন হয়
অধিক উৎপাদনের মুরগিতে স ংশ্লেষ্ণ ণের চেয়ে বেশি চাহিদা থাকায় ঘাটতি হয়
গ্রোথ বেশি হলে চাহিদা বেশি হয়
অতিরিক্ত আমিষ ও চর্বি ব্যবহার করলে কোলিনের চাহিদা বেশি হয় ফলে ঘাটতি পড়ে।
মুরগিতে কোলিনের কাজ কি
কোষ তৈরি এবং গঠন ঠিক রাখা
কোলিন লিভারের চর্বির বিপাকে ভূমিকা রাখে এবং অতিরিক্ত চর্বি জমা হতে দেয় না।
এসিটাইল কোলিন তৈরিতে ভূমিকা পাল ন করে যা স্নায়ু ত ন্ত্রের জন্য প্রয়োজন
ট্রান্সমিথাইলেশন প্রক্রিয়ায় কাজে লাগে
বিষ ক্রিয়া নস্ট কারতে কাজে লাগে
ঘাটতিতে মুরগির কি কি ক্ষতি হয়
বৃদ্ধি কমে যায়
টিবিওটারসাল স ন্ধি চোড়া হয়ে যায় শেষ পর্যায়ে পেরোসিস হয়।
ব্রিডার ও লেয়ারে ডিমের উতপাদন কমে যায় এবং ডিমের আকার ছোট হয়
বাচ্চাকালে বৃদ্ধি বেশি হলে বাচ্চা মারা যায়।
১০।ভিটামিন সি
উৎস ঃমোরগ মুরগির কিডনিতে সি সংশ্লেষিত হয় কিন্তু মুরগির খাবারে তেমন সি থাকে না।
সি এর ঘাট্টি কেন হয়
খামারে বা আব দ্ধ অবস্থায় মুরগি পালন করলে সি এর ঘাটতি পড়বে
নিয়মিত ভ্যাক্সিনেশনের জন্য যে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে যে কোষীয় রোগ প্রতিরোধ ব্যব স্থা গড়ে উঠে সেখানে সি এর চাহিদা বেড়ে যায় ফলে ঘাটতি পড়ে।
বেশি ডিম উতপাদঙ্কালিন স্টেস পড়লে ডি৩ সংশ্লেষনের জন্য সি বেশি প্রয়োজন ফলে ঘাটতি পড়ে।
বিশেষ করে ৪০-৪৫ সপ্তাহ বয়সে লেয়ার আর ব্রিড্রারে সমস্যা বেশি হয়
ধকলের সময় সি এর চাহিদা বেড়ে যায়
আই বি ডি ও আই বি হলে সি এর ঘাটতি পড়ে।
সি এর ঘটতিতে কি কি ক্ষতি হয়
গরম বা ঠান্ডা সহ্য করার ক্ষমতা কমে যায়
যে কোন রোগের প্রতি সংবেদন শিলতা বেড়ে যায়
ভ্যাক্সিনের প্রতি সাড়া জাগায় না।
মেডিসিনের কার্যকারিতা কম হয়
পরিবহনের ধকল বেশি পড়ে
পাতলা খোসাযুক্ত বা ভাংগা ডিমের সংখ্যা বেড়ে যায় বিশেষ করে ৪০ সপ্তাহের পর
ব্রয়লারের বিপাকীয় অনিয়ম ঘটে
কেজ লেয়ার ফ্যাটিগ বেড়ে যায়
ডিম ফুটার হার কমে যায় এবং বাচ্চা বাচানো ক ঠিন হয়
পুরুষ ব্রিডারে উর্বরতা কমে যায়
লেয়ার ও ব্রিডারে সর্বোচ্চ প্রডাকশন আসেনা।
ব্রয়লারে পায়ের গ ঠ ন ঠিক মত হয় না ফলে পা দূর্বল হয়
ডিমের গুণ গত মান নস্ট হয়
চিকিৎসা ঃ পানিতে বা খাবারে সি দিতে হবে।