Breaking News

লেয়ার প্রজেক্টঃ(২০০০লেয়ারের লাভ লসের হিসাব)

লেয়ার প্রজেক্টঃ(২০০০লেয়ারের লাভ লসের হিসাব)

এটা কয়েক বছর আগের,এখন খাবারের দাম বস্তায় প্রায় ৩০০টা কা বাড়ছে।ডিমের দাম ও কিছুটা বাড়ছে।

সেডের খরচ

১. পিলার ৩২টি ২৭০০০ টাকা
২.মাটিকাটা ১৩০০০ টাকা
৩. এংগেল ১২০০কেজি ৬৬০০০টাকা
৪.স্কু,রড ৬০০০ টাকা
৫.টিন ৭৭০০০টা
৬.ইট (১১০০০) ৮৫০০০টা
৭.বালি ৮গাড়ি ১৪০০০ টা
৮.সিমেন্ট ৯০ব্যাগ ৩৫০০০টা
৯.পাইপ,মটর,সেটিং ১৪৫০০টা
১০ রাজমিস্ত্রি ৪০০০০টা
১১.নেট ৪৭০০০টা(ফুল নেট,উপর থেকে নিচ পর্যন্ত)
১ পর্দা ৯০০০টা
১৩.টিন মজুরী ২৪৫০০টা

১৪.বালব,তার,সুইচ+সেটিং ১০০০০টা
১৫.টিউব ওয়েল,বালতি,মগ ৩৫০০টা
১৬.রং,তারপিন,তালা ১০০০০টা

সেডের খরচঃ ৪৮১০০০ টাকা

১৭.খাচা ২৭০০০০টা

১৮.ব্রডার,খাবার,পানির পাত্র ২০৫০০টা

১৯.ফ্যান। ২০০০০টা

২০.ট্রে ৩৫০০ টাকা

খাচা,পাত্র,ফ্যান,ব্রুডার,ট্রে সহ ৭ ৯৫ ৫০০ টাকা

২১.জেনারেটর ২৫০০০টা(অনেকে জেনারেটর ব্যবহার করেনা ৯০% খামারী)

২০.স্টোর,কর্মচারী রোম। ৭০০০০টা(নিজে পালন করলে লাগবে না)

২১.ওয়েট মেশিন ২৫০০(আধিকাংশ ফার্মে নেই)
২২.স্পে মেশিন। ২০০০(আধিকাংশ ফার্মে নেই)

এখানে মোটা কালো কালির পয়েন্ট গুলো সেডের খরচের সাথে যোগ করলে খরচ হবে
মোট। ৮,৯৯,৫০০টাকা.

নোট: বাশের খাচা হলে ১ লক্ষ টাকা কম
লাগবে.

## ## ##
লেয়ার মুরগির পালন খরচ ২১ সপ্তাহ পর্যন্ত  (৫০% ডিম).(২০০০ মুরগি)

১ বাচ্চা ২১০০০০টাকা( এখানে ১০৫ টাকা রেট দেখানো হয়েছে,রেট বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম)

(এখন রেট ৩৫-৪০টাকা)
২ মেডিসিন ৭০০০০টা
৩.টিকা ৮০০০০টা
৪.কর্মচারী বেতন( 2জন) ৭০০০০টা
৫.পেট্রোল৭৫০০টা
৬.বিদ্যৎ বিল। ৪০০০টা

৭.তুষ ৭০০০টা
৮.ভ্যান ভাড়া ৪০০০টা
৯.খাবার ৩৬০বস্তা ৬১২০০০টা

মোট। ১০,০৬,৪০০টা.

নোট: কেউ ইচ্ছে করলে ৮-৯ লাখেও করতে পারবে

মোট খরচ ১৬-১৭ লাখ

২০০০ মুরগির দিনে লাভ কত:

প্রডাকশন ৮০ সপ্তাহ পর্যন্ত ৮৫ ধরে কারণ প্রথম দিকে ৩০-৫০ সপ্তাহ পর্যন্ত ৯০% ধরে.

গড়ে ৮৫% ডিম মানে ১৭০০ ডিম, রেট গড়ে ৬.৫ হলে মোট :১১০৫০টাকা
বস্তা বিক্রি দিনে ৫ টি*১০:৫০টাকা

তাহলে  দিনে লাভ  ১১,১০০ টাকা

ডিমের খরচ প্রতি পিস ৫টাকা,সেডের খরচ ধরলে ৬টাকা।

কেউ ৫টাকা ধরে লাভলস হিসেব করে আবার কেউ সেডের খরচ সহ ৬টাকা ধরে হিসাব করে।

খরচ:

কর্মচারী মাসে ১০০০০ দিনে ৩৩০টাকা
মেডিসিন ( টিকা,কৃমি,ওষধ) মাসে
১০০০০,দিনে ৩৩০
বিদ্যুৎ মাসে ১৫০০,দিনে ৫০
খাবার ৫ বস্তা*১৬৫০:৮২৫০

টোটাল দিনে খরচ ৮৯৬০ টাকা.

অতএব দিনে লাভ ১১১০০-৮৯৬০:২১৪০ টাকা.

৮৫ সপ্তাহে ৬০সপ্তাহ*৭:৪২০ দিন(৮৫-২৫ঃ৬০সপ্তাহের ডিম হিসেব করতে হবে।১ম ২৫ সপ্তাহ আর পরের ৫ সপ্তাহ বাদ দিয়েছি)
৪২০ দিন মানে ১ ব্যাচে  লাভ ৪২০*২১৪০:৯ লাখ(৮,৯৮,৮০০টাকা)

মুরগি বিক্রি সময়-১৮০০(২০০ মুরগি মৃত ধরা হয়েছে) বাদামি  মুরগি৩০০ টাকা ধরে ১৮০০ * ৩০০:৫ লাখ ৪০ হাজার(এখন রিজেক্ট মুরগির দাম ৩৫০-৩৮০টাকা)

গ্রান্ড টোটাল লাভ: ৫ লাখ ৭০হাজার+৯ লাখ:১৪লাখ ৪০হাজার

অনেক সময় মুরগি ১০০ সপ্তাহ রাখা যায় তাতে দিনে ১০০০ টাকা হলে ১১৪০০০ টাকা,

ডিমের রেট ০.৫০ পয়সা মানে ৭ টাকা হলে ১৭০০ ডিমে ৮৫০টাকা দিনে লাভ,তাহলে ৪২০*৮৫০:৩৫৭০০০টাকা.

আবার রেট .৫০ কম হলে মানে রেট ৫.৫০ হলে ৩৫৭০০০ টাকা কম লাভ হবে

১বছর যাবত রেট ৫-৬ টাকা ছিল যা এখন ৭.৫০ টাকা

লাভ আরো যোগ হবে ১১৪০০০+৩৫৭০০০:, ৪,৭১,০০০।

 ২ বছরে লাভের পরিমান দাঁড়ায় :১৪ লাখ+৪ লাখ ৭১০০০: প্রায় ১৯ লাখ.

১ম ব্যাচে  ব্যয় ১৬-১৭ লাখ, লাভ ১৯ লাখ.,এতএব ১ম ব্যাচে লাভ ২-৩লাখ

২য়  ব্যাচে(সময় প্রায় ২ বছর) লাভ হবে  ১৯ লাখ কারণ সেডের খরচ ৯ লাখ লাগবেনা.

# প্রডাকশন আরো বেশি থাকে,৬০ সপ্তাহ পর্যন্ত ৯০% এবং ৪৫ সপ্তাহ পর্যন্ত ৯৫%থাকে,ব্যবস্থাপনা ভাল থাকলে.এতে লাভ বেড়ে যায়.
মেডিসিনের খরচ কমানো যায় ৩-৪ হাজার টাকা.

সহজ কথায় ২০০০মুরগি পালন করলে খরচ বাদ দিয়ে দিনে লাভ থাকে গড়ে  ৩৫০০টাকা কিছু কম বেশি হবে।(ডিমের রেট ৭টাকা ধরে)

আরো সহজ করে বললে ডিমের রেট ৭টাকা হলে প্রতি ডিমে লাভ ২টাকা(স্থায়ী খরচ বাদ দিয়ে)

এখন ডিমের রেট ৭.৭টাকা কিন্তু বর্তমানে রোগ ব্যাধি বেশি ,মুরগি টিকিয়ে রাখা কঠিন ।একব্যাচে ১০ লাখ লাভ করলে পরের ব্যাচে ১০ লাখ চলে যায়,তাছাড়া রোগ ব্যাধি ছাড়া ব্যাচ কমপ্লিট করা ভাগ্যের ব্যাপার।


কেন লস হয়
১. ব্যবস্থাপনা ভাল না হলে
২. ডিমের রেট ৬ টাকার নিচে হলে এবং প্রডাকশন খারাপ হলে
৩. রোগ বালাই হলে( আই বি,ই ডি এস,টাইফয়েড , মেরেক্স, রানিক্ষত,এ আই,কলেরা।এসব রোগের কারণে হাজার হাজার খামারী ধ্বংস হয়ে গেছে।২০০০ লেয়ার প্রডাকশনে আনতে যে ৯-১০ লাখ খরচ হয়েছে তা ৭ দিনে শেষ)

তাই লাভের দিকে না তাকিয়ে লসের দিকে ও তাকাতে হবে।তাছাড়া অনেক সময় মুরগি রোগে আক্রান্ত হবার পর ডিম কমে ৬০-৭৫% চলে আসে ফলে মুরগি বিক্রি করতে বাধ্য হয় মানে সব শেষ।
৪. রোগ বালাই দমন করতে না পারলে
৫. ঘর ঠিক ভাবে তৈরি না করলে
৬. বর্ষা, শীত এবং গীষ্মকালে সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকেল.
৭. দক্ষতা না থাকলে
৮. ভাল কর্মচারী না থাকলে
১০. দক্ষ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া  কোয়াক দিয়ে ফারম পরিচালনা করলে.
১১. বাচ্চার রেট বেশি থাকলে,আগে বাচ্চা ছিল ১০ টাকা,তারপর ৩০ -৪০,তারপর ৫০-৬০, এক লাফে ১০০-১২০ টাকা,তারপর  কমে ৮০,৬০,৫০,৪০,৩০,২৫ টাকা এখন  আবার  বেড়ে ৩০,৩৫,৪০টাকা
১২.খাবারের দাম বেশি এবং দাম উঠানামা করে
১৩. মুক্তবাজারনীতি মানে দামের উপর সরকারের কোন নজর নেই যে যার মত করে খাবার এবং বাচ্চার দাম বাড়ায়. তাই লসের সম্বাবনা থাকে
.১৪. আল্লাহ যদি না চায়.

সব ঠিক থাকলে লাভ অনেক, আবার ২০০০ মুরগিতে ৫-১০ লাখ টাকা লস ও হতে পারে.তাই জেনে শুনে বুঝে দক্ষ ডাক্তারের পরামর্শে ফার্ম করা উচিত.

এখানে লাভ এবং লসের গ্যাপ্টা অনেক বেশি.

Please follow and like us:

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »