হ্যাচারীতে কি কি রোগের কারণে বাচ্চার মান খারাপ হয়
১।পুলোরাম
২।এরিজোনা ডিজিজ
৩।ফাউল টাইফয়েড
৪।প্যারাটাইফয়ড
৫।এস্পারজিলোসিস
৬।ওম্পালাইটিস
৭।ইকলাই
৮। আই বি
৯।এন ডি
১০।এভিয়ান এন সেফালাইটিস
১১।মাইকোপ্লাজমা
১২।আলফাটক্সিকোসিস
১৩।আই এল টি
হ্যাচাবিলিটি হ্রাস পাবার কারণ
ব্রিডিং ফ্লকের সার্বিক ব্যব স্থাপনা ও হ্যাচারির ব্যবস্থাপনার উপর হ্যাচাবিলিটি নির্ভর করে।
নিচে কিছু কারণ দেখানো হয়েছে
ডিম সংরক্ষণ ভাল না হলে ২৫%
ইনফার্টাইল ডিম ২০%
ব্যকাটেরিয়া ও মোল্ড দ্বারা আক্রান্ত ১২%
ডিমের আকার ও সেলের বিচ্যুতি ১০%
ব্রিডার নিউট্রিশন ১০%
রোগ ১০%
জেনেটিক ৮%
ইন কিউবেটর জনিত সমস্যা ৫%।
ডিম সংরক্ষ্ণ ভাল না হলে সবচেয়ে বেশি হ্যাচাবিলিটি কমে যায়।
ডিম সংরক্ষণ করতে হয় ১৭-১৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রায়।
ডিম কিভাবে সংরক্ষোন করতে হবে তা নিন্মে দেয়া হলো
ডিম সংরক্ষোনের সময় ০-৪দিন ৫-৭দিন ৮-১৪দিন
তাপমাত্রা ১৭-১৮ডিগ্রি ১৬-১৭ ডিগ্রি ৪-১৬ডিগ্রি
আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮০% ৮৫% ৮৫%
ডিমের পজিশন ডিমের মোটা মাথা উপরে একই একই
মেল ব্রিডার যদি অতিরিক্ত মোটা হয়ে যায় তখন পুরুষ মোরগের মেটিং প্রবণতা কমে যায় ফলে ইনফার্টাইল ডিম বেড়ে যায়।
তাছাড়া এল মোরগের পায়ের সমস্যা( বাম্বল ফুট) ও বয়স বেশি হলে মেটিং টেনডেন্সি কমে যায়।
এই জন্য ২০ সপ্তাহের পর মেল গুলোকে অংকুরিত ছোলা মোরগ প্রতি ৫গ্রাম দেয়া উচিত।
কোন কারণ মোরগের সংখ্যা কমে গেলে নতুন মোরগ দিতে হবে।
ডিম কে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ডিম কালেকশনের পর পর ই হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।
৪০এম এল ১লিটার পানিতে মিশাতে হবে যেখানে পানির তাপমাত্রা হবে ৪০ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট।এই পানি দিয়ে ডিমের উপর স্প্রে করতে হবে।ব্রিডিং ফ্লক থেকে দিনে ৮বার ডিম কালেকশন করতে হবে।
যে সকল ডিম ছোট বা খুব বড় ,খোসা পাতলা ও চুর ফাটা আছে সে গুলোকে বাদ দিতে হবে।
ডিমের মিনিমাম সাইজ হবে ৪৮-৫০গ্রাম।
ডিমের খোসার মান ঠিক রাখার জন্য খাদ্যে ক্যালসিয়াম,ম্যাংগানিজ,ম্যাগ্নেসিয়াম,ফসফরাস স ঠিক মাত্রায় দিতে হবে।
লেয়ারে ক্যালসিয়াম ও ফস ফরাসের অনুপাত ৩.৫ঃ১ এবং ভিটামিন ডি৩ ৩৩০০ আই ইউ/কেজি।
খাদ্যে ফাইটিন ফস ফরারের সমস্যা থাকলে খাদ্যে ফাইটেজ এঞ্জাইম দিতে হবে কারণ পাখির ফাইটেজ এঞ্জাইম নাই যার ফলে ফস ফরাস কাজে লাগাতে পারে না।
খাদ্যে ভিটামিন ই এর ঘটিতি থাকলে পুরুষ মরগির প্রজনন ক্ষমতা কমে যায় ফলে জ্যাচাবিলিটি কমে যায়।
আবার খাদ্যে মেটাবলিক এনার্জি বেশি হলে পাখির দেহে চর্বি জমে ফলে প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়।খাদ্যে লিনোলিক এসিডের মাত্রা কমে গেলে ডিমের আকার ছোট হয় এবং হ্যাচাবিলিটি কমে যায়।
ডিম ইনকিউবেশনে বসানোর আগে সেটিং ও হ্যাচিং ট্রে ফিউমিগেশন করতে হবে।ট্রিপল স্ট্যান্ডার্ডে।
ইন কিউবেটরর তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে ,আমাদের দেশে লোড শেডিং বেশি হয় তাই বিকল্প বিদ্যুতের ব্যব স্থা রাখতে হবে।
যেখানে রোগের তীব্রতা বেশি সেখানে সেটিং পিরিয়ডে ইন কিউবেটরের ফ্লোরে এলুমিনিয়ামের প্লেইটে ফর্মালিন সল্যুশন দিতে হবে।
সাধারণত ফর্মালিন ও পানির অনুপাত হবে ৪০ঃ৬০।
হ্যাচিং এর সময় পুলোরাম এর আউটব্র্যাকের সম্বাবনা থাকলে ফিউমিগেশন করতে হবে।
সিংগেল স্ট্যান্ডার্ডে দ্বারা হ্যাচিং পিরিয়ডে ফিউমিগেশন করা হয় যেখানে সময় ৩মিনিট।