Breaking News

শাল দুধ কি শাল দুধের গুনাগুন ,প্রয়োজনীয়তা এবং কৃত্রিমভাবে শাল দুধ বানানোর পদ্ধতি?

শাল দুধ কি
শাল দুধের গুনাগুন ,প্রয়োজনীয়তা এবং কৃত্রিমভাবে শাল দুধ বানানোর পদ্ধতি?

বাছুর জন্মের পরপরই যে দুধ পাওয়া যায় তাকে শাল দুধ বলে।
এই দুধের বর্ণ হলুদ এবং গাঁড় হয়। এই দুধ বাছুরের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য এবং এই দুধ 7-14 দিন পর্যন্ত থাকে।

শাল দুধের গুনাগুন:
1) এই দুধে 2-3 গুন বেশি ভিটামিন এ,বি,ই পাওয়া যায়
2)স্বাভাবিক দুধের চেয়ে 3-5 গুন বেশি আমিষ ও চর্বি পাওয়া যায়।
3)বাছুরের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে।
4)বাছুরের পরিপাকন্ত্রে যে বিপাকে মল জমে থাকে তা বাহির করে পরিপাকতন্ত্রকে পরিস্কার করে।
5) শাল দুধে রিবোফ্লাবিন,কপার ,এবং প্যান্টোথ্যানিক এসিড প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়।
6) এই দুধ বাছুরের শরীরে এন্ডিবডি তৈরি করে।

যদি কোন কারনে বাচ্চা প্রসবের সময় বা পরে গাভী মারা যায় তাহলে অন্য গাভীর শাল দুধ খাওয়াতে হবে বা সংরক্ষিত থাকলে সেই দুধ খাওয়াতে হবে ।
যদি এই সব সংগ্রহ করা না যায় তাহলে কৃত্রিভাবে দুধ তৈরি করে খাওয়াতে হবে।
বিকল্প দুধ তৈরির উপাদান:
গাভীর দুধ 500 মিলি।
পানি 500 মিলি।
মুরগির ডিম 1 টি।
কর্ড লিভার তেল-20 মিলি।
রেডিব তেল -20 মিলি।

প্রথমে মুরগীর ডিম 500 মিলি পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে তারপর দুধ ও তেলগুলো একত্র করে ভালো করে মিশিয়ে বাছুরকে খাওয়াতে হবে।

Please follow and like us:

About admin

Check Also

দুধের ল্যাক্টোফেরিন

ল্যাক্টোফেরিন হলো একটি আয়রন সমৃদ্ধ প্রোটিন। সর্বপ্রথম ১৯৩৯ সালে গরুর দুধে এই প্রোটিনের সন্ধান মেলে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »