মর্টালিটি বা মর্বিডিটির উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রোগের প্রোগ্নোসিস এবং চিকিৎসা
১।ইনডিভিজুয়াল মানে যেগুলো আক্তান্ত হলে অন্যগুলো আক্তান্ত হবার সম্বাবনা কম বা নাই।
আফ্লাটক্সিকোসিসঃ
স্পোরাডিক কেস মানে যেগুলো আক্রান্ত সেগুলোই মারা যাবে ।তাই বেশি ভয় পাবার কিছু নাই।তবে খাবারে যদি ব্যাপক হারে মাইকোটক্সিন থাকে তাহল একিউ কেসে অনেক মর্টালিটি হতে পারে যা রেয়ার কেস। ।
ব্রুডার নিউমোনিয়া ছোয়াচে না হলেও অনেক মর্টালিটি হতে পারে ৫-৫০%।
সাডেন ডেথ সিন্ডম ঃব্রয়লারে এমন হয়,হঠাত সেডের বড় ব্রয়লার মারা যায় ১% এর কম মারা যায়।
এসাইটিস ঃএক্টা থেকে আরেকটা ছড়ায় না তবে শীতে ব্যাপক হারে দেখা যায় অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য।মর্টালিটী ১-১৫%।
ই -কলাইঃকিছু কিছু ক্রনিক ই-কলাই দেখা যায় বিশেষ করে প্রডাকশন পিরিয়ডে।মাঝে মাখে কিছু কিছু মুরগি শুকিয়ে বা পেটে ডিম আটকে মারা যায়।পর্যায়ক্রমে ১-১০% মারা যেতে পারে বিক্রির আগ পর্যন্ত।
হিট স্টোকঃ
তাপমাত্রা ৩৫ডিগ্রির বেশি হলে এবং মুরগির ফ্যাট/ওজন বেশি হলে শুধু গরমের কয়েকদিন মারা যায়,কয়েকদিনে হাজারে ১-১০০ টিও মারা যেতে পারে যা তাপে ও ওজনের উপর নির্ভর করে।
ভয় এবং প্যাচ লেগেঃ
মাঝে মাঝে প্যাচ লেগে ১-২টা মুরগি প্যাচ লেগে মারা যেতে পারে।
ভয়েও মুরগি মারা যায়।
পুলোরাম(প্রডাকশন মুরগির)ঃ
ইক্ললাই এর মত মারা যায়।
এগ বাউন্ড (ডিম আটকে যাওয়া)
এগ পেরিটোনাইটিস
ই-কলাইঃ
ইক্লাই দিয়ে সব অর্গানে সব বয়সে সব স্পিসিসে স্পোরাডিক থেকে সিস্টেমিক ১-২০% মারা যেতে পারে।
কৃমি ঃঅল্প মুরগি বা ব্যাপক হারেও দেখা যেতে পারে।
ফ্যাটি লিভার (মাঝে মাঝে বেশিও হতে পারে গরমের সময়)
ক্যানাবলিজম ঃকিছু কিছু মুরগির স্বভাব থাকতে পারে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে দেখা দেয় তবে তা খুব কম।
২।কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে একটা আক্রান্ত হলে সেটা থেকে অনেক আক্তান্ত হতে পারে।
রানিক্ষেত,
এ আই ,
করাইজা,
কলেরা,
গাম্বোরু,
ব্রংকাইটিস
টাইফয়েড,
সি আর ডি,
রিও,
এভিয়ান এনসেফালোমাইলাইটিস,
আই এল টি,
করাইজা,
পক্স,
আমাশয়
মেরেক্স,
লিউকোসিস
নেক্রোটিক এন্টাইটিস,
ই ডি এস,
গ্রেংগ্রেনাস ডার্মাটাইটীস
৩।উভয় ধরণের হতে পারে।
অল্প সংখ্যক বা বেশি স ংখ্যক মুরগি আক্রান্ত হতে পারে।
মাইকোপ্লাজমোসিস
গাউট
কৃমি
আমাশয় কোন কোন সময় অল্প কিছু মুরগিতে হয় আবার কিছু ক্ষেত্রে অধিকাংশ বা সব মুরগি আক্রান্ত হয়।
নাভিকাচা
ই -কলাই
ব্রংকাইটিস
স্ট্যাফাইলোকক্কোসিস
ফ্যাটি লিভার
কোন রোগে চিকিৎসা কেমন হবে।
করাইজা এবং পক্সঃ
আক্রান্ত হবার ৩-৫দিন পর চিকিৎসা দিলে ভাল এতে এন্টিবায়োটিক কম লাগে এবং রোগ রিপিড হবার সুযোগ কম থাকে।
চিকিৎসা না দিলেও ভাল হয়ে যায় তবে ইক্লাই/আই বি হয়ে যাবার সমাবনা থাকে। যদি বেশি সংখ্যক আক্রান্ত হয় অল্প হলে কিছু করার দরকার নাই।
পক্সের ক্ষেত্রে টিকা দিতে হবে যদি আক্রান্ত্রের সংখ্যা ৫% এর বেশি হয়।।
করাইজার চিকিৎসা ১৪-২১দিন দিতে হবে।কম দামি এন্টিবায়োটিক দিতে হবে।
ক্রনিক ই-কলাই এর ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক দিয়ে তেমন লাভ নেই
ফ্যাটি লিভারে এন্টিবায়োটিক দিলে সমস্যা বাড়বে
ভিটামিন মিনারেলস এর ঘাটতি আছে কিনা খেয়াল করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
সব সময় এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসার মন মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
মেরেক্স এবং লিউকোসিসের ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক দেয়া মানে টাকার অপচয়।
প্রগ্নোসিসঃ
এ ই চ৯ এন ২ঃ
ভাল হতে ৭-২১দিন লাগে।
এইচ ৫/৭ হলে ৩-৭দিনের মধ্যে মর্টালিটি ৪০-১০০% হয়।
রানিক্ষেতঃ
ক্রনিক রানিক্ষেত হলে ১৪-২৮দিন থাকতে পারে যদি ভ্যাক্সিন না দেয়া হয় গ্রোয়িং পিরিয়ডে বেশি হিয়।
ব্রয়লারে ১০০% আর সোনালীতে ৩০-৫০% মারা যায়।লেয়ারে হলে ১০-৪০% মারা যায়।
আই বি ডিঃ
মর্টালিটি ১-৫০% যা মিক্স ইনফেকশন/স্ট্রেইন/স্ট্রেস এর উপর নির্ভর করে।
ভাল হতে ৫-৭দিন লাগে
আই বিঃ
প্রডাকশন পিরিয়ডে ভাল হতে ১-২মাস লাগে এমন কি ভাল না ও হতে পারে।
মারা যায় না তবে মিক্স ইনফেকশন হতে অল্প যেতে পারে।
ডিম কমে ৫০-৬০% চলে আসে পরে আবার ৭৫-৮৫% উঠে,ভাগ্য ভাল হয়ে গেলে ৯০% ইঠতে পারে।
করাইজাঃ
ভাল হতে ৭-২১দিন লাগতে পারে।
গাউট এবং আই বি এইচঃ
৭-১৪দিন মারা যায় এবং মর্টালিটি ১-২০%
আই এল টিঃ
ভাল হতে ১৪-২১দিন লাগে
ই ডি এসঃ
১মাস পর প্রডাকশন ঠিক হয়ে যায় কিন্তু মুরগি মারা যায় না।
কলেরাঃ
৭-১৪দিন চিকিৎসা করতে হয়।মর্টালিটি ১-৬০ যদি চিকিৎসা না করা হয়।
টাইফয়েডঃ
অল্প করে শুরু হয় ,বাড়তে থাকে,মর্টালিটি ৫০% হতে পারে ভাল চিকিৎসা না হলে।
রিওঃ
১৪দিন পর্যন্ত সমস্যা থাকে পরে আসতে আসতে কিছুটা ওজন বাড়তে থাকে কিন্তু ১২০০-১৩০০গ্রামের বেশি ওজন তেমন আসেনা।