Breaking News

পোল্ট্রির হারবাল প্রোডাক্টস,এটিবায়োটিক মুক্ত মুরগি পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৫০০০ বছর পূর্বে থেকে হারভাল মেডিসিন্স ভারত ও চায়নাতে ব্যবহার হয়ে আসছে।

দিন দিন এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট হয়ে যাচ্ছে।তাছাড়া এন্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করেনা।

অনেক দেশেই এন্টিবায়োটিক নিষিদ্ধ বিশেষ করে ইউরোপ।

লিভারটনিক,এন্টি স্ট্রেস এন্টিপাইরেটীক,হিট স্টোক,এন্টিসেপ্টীক,ভিটামেন্,মিনারেলস,্প্রোটিন,এন্টিব্যাক্টেরিয়াল,এন্টি ইনফ্লামেটরী ও ইমোনোমডোলেটর হিসেবে হারভাল মেডিসিন স্পেশাল জায়গা করে নিয়েছে।

পৃথিবীতে ১ম প্রবায়োটিক লেভোসিল।

কি কি উপাদান হারভাল মেডিসিন হিসেবে ব্যবহার হয় তা নিন্মে দেয়া হলো

হলুদ,রসুন,দারুচিনি,জিরা,অর্জুন ,মেথি,কালো ও লাল মরিচ,আদা,পেয়াজ,ইপসম লবণ,তুলসি,পেপারমিন্ট(পুদিনা),লং,ধ নিয়া,আমলকি,সবুজ চা,আপেল সিডার(ভিনেগার)।ইউকেলিপ্টাস,বাসক,পেয়ারা পাতা,লেবু,এলভেরা,নিম,চিরতা পাতা।

#হিটস্ট্রেস_প্রতিরোধে_ভেষজ_উপাদান
একসময় আমাদের মাঝে ধারনা ছিল মেডিসিন ছাড়া ব্রয়লার মুরগী উৎপাদন অসম্ভব।কিন্তু বর্তমানে অনেকেই অর্গানিক ব্রয়লার উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন।বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটি মেডিসিনের বিকল্প হিসেবে ভেষজ উপাদানের ব্যবহার হয়।ব্রয়লার মুরগীতে হিটস্ট্রেস প্রতিরোধে কিছু ভেষজ উপাদানের ব্যবহার ঃ

হিটস্ট্রেস প্রতিরোধে  তিনটি ভেষজ উপাদান হলঃ
১. হলুদ গুড়া বা Turmeric Powder
২. শুকনো আদার গুড়া বা Ginger Powder
৩. দারুচিনি গুড়া বা Cinnamon Powder

১. হলুদ গুড়াঃ
এটি একাধারে এন্টিসেপ্টিক, এন্টিঅক্সিডেন্ট,লিভার টনিক ও এন্টিকোয়াগুলেন্ট।এর এন্টিকোয়াগুলেন্ট বৈশিষ্ঠের জন্য এটি রক্তের প্লেটলেটস কণিকাগুলোকে জমাট বাধঁতে বাধা দেয়।তাছাড়া এটি একটি প্রাকৃতিক ব্লাড থিনার (রক্তের ঘনত্ব হ্রাসকারক)।যা রক্তচাপ হ্রাস করে হিটস্ট্রেস ও হিটস্ট্রেসে মুত্যুর ঝুকি কমায়।

হলুদ,গুড় ও লেবুর রস  বাচ্চার ব্রুডিং এ দিলে মরটালিটি কমে যায় কারণ এগুলো ধকলের বিরুধে কাজ করে।

নরমাল ডোজঃ ০.৫০-১.০০ গ্রাম/কেজি খাদ্য।

২কেজি/টন ফিডে ১দিনের বাচ্চা থেকে ৬০দিন ব্যবহার করলে ভাল রিজাল্ট পাওয়া যায়।

২. শুকনো আদার গুড়াঃ
সর্দি-কাশিতে অনেকেই আদার রস ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন।সর্দি-কাশির পাশাপাশি আদার গুড়া ব্রয়লার মুরগীতে হিটস্ট্রেসের ঝুঁকি কমায়। আদার একটি উপাদান হলো স্যালিসাইলিক এসিড।এই স্যালিসাইলিক এসিড থেকেই এসিটাইল স্যালিসাইলিক এসিড তৈরী হয় যার এন্টিইনফ্লামেটরি ও এন্টিপাইরেটিক বৈশিষ্ঠ্য বিদ্যমান। শুকনো আদার গুড়া মুরগীর শরীরের অভ্যন্তরীY তাপ হ্রাস করে, রক্তের ঘনত্ব হ্রাস করার মাধ্যমে রক্তচাপ হ্রাস করে, রক্ত জমাট বাধঁতে বাঁধা দেয় এবং হিটস্ট্রস ও হিটস্ট্রেসে মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

ডোজঃ ০.৫০-১.০০ গ্রাম/কেজি খাদ্য

৩. দারুচিনি গুড়াঃ
হলুদ ও আদার পাশাপাশি দারুচিনিও মুরগীতে হিটস্ট্রেস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে।সাধারনত দারুচিনিতে কোওমারিন নামে একটি রাসায়নিক উপাদান থাকে যা প্রাকৃতিক এন্টিকোয়াগুলেন্ট (রক্ত জমাট বাঁধতে বাঁধাকারক)।এটির এন্টিইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ঠ্য বিদ্যমান এবং রক্ত চাপ হ্রাস করে হিটস্ট্রস ও হিটস্ট্রেসে মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।

ডোজঃ ০.৫০-১.০০ গ্রাম/কেজি খাদ্য

#ব্যবহারবিধিঃ
হিটস্ট্রেস প্রতিরোধে উপরোক্ত তিনটি ভেষজ উপাদান একত্রে খাদ্যে ব্যবহার করতে হবে।ব্রয়লার মুরগীর ক্ষেত্রে ২য় সপ্তাহ থেকে বিক্রয়ের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন মুরগীর খাদ্যের সাথে উপোরোক্ত ভেষজ উপাদানগুলো সঠিক মাত্রায় যোগ করতে হবে।

সজিনা পাতাইয় এমানো এসিড ,ভিটামিন মিনারেলস আছে

তাছাড়া লালশাক,বাধাকপি,পেপে পাতা,ফুল কপি মুরগিকে দেয়া যায়।এতে ঠোকরা ঠুকরি কমে যায়।খাবারের বিকল্প হিসাবে ৫% দেয়া যায়।

কোন টা কিসের বিরুদ্ধে কাজ করে নিচে দেয়া হল

কালমেঘ  আই বি ডি

কালোজিরা  ই- কলাই

নিম   এন্টারাইটিস

হলুদ    টক্সিসিটি ও এন্টিব্যাক্টেরিয়া

রসুন    নিউমোনিয়া

পেয়ারার পাতা  কলেরা

গোলমরিচ ও বাসক পাতা    ঠান্ডা লাগা

পান      গাউট

থানকুনির পাতা     কক্সিডিয়া

বেল পাতা    ডায়রিয়া

ডোজঃ  ১০০-১৫০গ্রাম/১০০কেজি খাবার বা পানিতে

পিপারমিন্ট(peppermint),তুলসি ও বাসক ১গ্রাম ১লিটার পানিতে ব্যবহার করলে করাইজা ও সি আর ডির বিরুদ্ধে কাজ করে।

Decoction of Neem leaves(নিমের পাতার রস  এলভেরার সাথে মিক্সার করে খাওয়ালে পক্স ভাল হয়ে যায়।)

এক্টিভেটেডে চারকোলঃ

মাছের আশটে গন্ধ দূর করে

পানি স্যানিটাইজার হিসেবে কাজ করে।

এন্টিফাংগাল ও এন্টিকক্সিডিয়াল হিসেবে কাজ করে ।

ডোজঃ২.৫কেজি/টন ফিড।

misvulgasis and oregan(পুদিনা ও অর্জুন (Ajwin)

এন্টিব্যাক্টেরিয়াল,এন্টিডায়রিয়াল ও নেক্রোটিক এন্টারাইটিসের বিরুদ্ধে কাজ করে।

এফ সি আর ভাল হয়।

কাঁচামরিচ

২০০গ্রাম ১০০০ মুরগির জন্য

ইমোনিটি বাড়ায়

জ্বর কমায়

রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়

পদ্ধতিঃকাচা মরিচ বেটে পানিতে মিশিয়ে

রসুনের গুনাবলী:-

১। রসুন অন্ত্রের ভিতরকার ভিলাই গুলোর দৈর্ঘ্য ১.৫ গুন বৃদ্ধি করে ফলে খাদ্যের শোষনহার বাড়ে এবং খাদ্য রূপান্তর হার কমে, অর্থাৎ মুরগী কম খেয়ে বেশী ওজন দেয়।
২। রাণীক্ষেত রোগের টাইটার বাড়ায়।
৩। নিয়মিত সেবন করলে লিটারে পোকা হয় না।
৪। এতে ১৮ টি এ্যমাইনো এসিড,৮ ধরনের ফ্যাটি এসিড,১০ ধরনের মিনারেল,২ ধরনের ভোলাটাইল তৈল আছে।
৫। এটি ব্রুডার নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় দারুণ কার্যকরী।

৬।রসুনে এলোসিন যা ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে কিন্তু প্রবায়োটিক ল্যাক্টোব্যাসিলির বিরুধে কাজ করেনা।

ব্যবহারবিধি :-

১কেজি রসুন +৫লিটার পানিতে মিক্সার করে মুরগির উপর স্প্রে করলে ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে।

২কেজি/টন ফিডে ব্যবহার করলে এন্টিফাঙ্গাল,এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল ও এন্টিপ্যারাসাইটিক হিসেবে কাজ করে।

নরমালি ১গ্রাম রসুন হতে প্রাপ্ত রস ১লিটার পানিতে ২য় দিন থেকে ব্যবহার করতে পারেন।

রসুনের রস ও আপেল সিডার(ভিনেগার) এক সাথে ব্যবহার করলে ইনফ্লুয়েঞ্ছা ও রেস্পিরেট্ররী সমস্যায় ব্যবহার করা যায়।

ডোজঃ২কেজি রসুনের রস ও ২৫০এম এল ভিনেগার  ১০০০ মুরগির জন্য ব্যবহার করা যায়(খাবার বা পানিতে)

ইউকেলিপ্টাস,এলোভেরা,পেয়ারার পাতা,হলুদের পাতা এন্টিভাইরাল হিসেবে এবং ব্রয়লারের গ্রোথ বাড়ায়।

মধু ও ইউকেলিপ্টাসঃ

মধু ৫০০ এম এল আর ইউকেলিপ্টাস ৮০গ্রাম ১০০০ মুরগির জন্য ব্যবহার করলে নিউমোনিয়া,ঠান্ডা ও চিলিং এর বিরুদ্ধে কাজ করে।

CURD and copper:এটি এন্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে।

নিমের বীচি (তেল সরানোর পর) ও এলোভেরা এন্টিভাইরাল হিসেবে কাজ করে।

ডোজঃ১কেজি/টন ফিড।১কেজিতে ১গ্রাম)

সবুজ চায়ের পাতা বার্ড ফ্লু এর বিরুদ্ধে কাজ করে।

চিরতা পাতাঃএন্টিডায়রিয়াল হিসেবে কাজ করে।

Spinach: এতে আয়রণ বেশি পাওয়া যায়

অর্জুন(Ajwin) এতে প্রোটিন ১০%,৬% এসেন্সিয়াল অয়েল.

এটি ডাইজেস্টিভ স্টিমোলেন্ট হিসেবে কাজ করে।

২কেজি/টন ফিডে ব্যবহার করতে হবে ।

Antiseeds(SNOF)):

এন্টি মাইক্রোবিয়াল,ফ্লেভানিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে,পানি খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।

হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও এলোভেরা এক সাথে  ব্রয়লার ও লেয়ারে এন্টিভাইরাল হিসেবে কাজ করে।

মাছ চাষে রসূনের ব্যবহার !!

রসুন হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক তৈরি সবথেকে বড় প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক ।

রসুন একটি সপুষ্পক একবীজপত্রী লিলিশ্রেণীর বহুবর্ষজীবী গুল্ম। বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)। কাঁচা রসুনে এলিসিন থাকে, যা অসংখ্য রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে। অল্প একটু রসুন ব্যবহার করাই অনেক বেশি কার্যকর । রসুনের রয়েছে প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ ছাড়া অন্যান্য প্রাণীর রোগ প্রতিরোধক হিসেবে প্রাকৃতিকভাবে রসুন সব থেকে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে।

নিম্নে মাছ চাষে রসুন ব্যবহারের উপকারিতা সমুহ দেওয়া হলঃ

১) মাছের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে রসুন অনন্য, রসুন হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক তৈরি সবথেকে বড় প্রাকৃতিক এন্টিবায়োটিক, মাছের দেহে জীবাণু আক্রান্ত হলে প্রতি ১০০ কেজি খাবারে ৫০ গ্রাম রসুন বেটে খাবারের সাথে মিশিয়ে পর পর ৭ দিন খাওয়াতে হবে, বিশেষ ক্ষেত্রে ১১ দিন ও হতে পারে, একটি জিনিস মাথায় রাখা দরকার মাছ চাষে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাই উত্তম।

২) রসুনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি যার দৌলতে সংক্রমণজনিত অসুখবিসুখ কম হয়, তাই প্রতি ১০০ কেজি মাছের জন্য ১০ গ্রাম রসুন ৩ দিন পর পর খাবারের সাথে প্রয়োগ করলে মাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।

৩) EUS রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ২কেজি লবন, ২কেজি রসুন, Aquaxide Plus ( ফরমুলাঃ Alkyldimethylbenzylammonium chloride ও Glutaraldehyde) ২৫০ এমএল সাথে ৪০ লিটার পানিতে মিশিয়ে আনুমানিক ৩০ শতকের পুকুরে ছিটিয়ে দিলে এই রোগ অবশ্যয় দুর করবে।

৪) মাছের দেহে যে বিপাকীয় ক্রিয়া ও পরিবেশ দূষণের ফলে যে ফ্রি র‌্যাডিক্যালস তৈরি হয় তা মাছের দেহের জন্য ক্ষতিকর৷ রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেই ক্ষতি খুব ভাল ভাবে ঠেকাতে পারে৷

৫) মাছের খাদ্যের টক্সিসিটি কমাতে রসুন দারুন কাজে লাগে৷

৬) রসুন মাছের শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখে

৭) গ্রোথ প্রমোটার হিসেবে সয়ামিলের সাথে কাচা রসূনের মিশ্রণ অনেক কার্যকর ভুমিকা পালন করে থুনে, প্রতি ১০০ কেজি মাছের জন্য ১০ গ্রাম রসুন ৩ দিন পর পর প্রয়োগ করলে মাছের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে এবং বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।

৮) তবে কেমিক্যাল ফরমেশনের কারনে এটা তেলাপিয়ার উপর সবথেকে বড় ভুমিকা পালন করে। তেলাপিয়া অতি দ্রুত সময়ে বৃদ্ধি পায়

৯) রসুন ব্যবহারে ইস্ট্রোজেন স্তর বেড়ে হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল হয়

১০) বেশি মাছ ধরতে রসুন

মাছ ধরতে খুব ভালোবাসেন? বেশী মাছ ধরার জন্য টোপের মাঝে দিয়ে দিন কাঁচা রসুন। লোভে লোভে প্রচুর মাছ উপস্থিত হবে।

১১) অভিজ্ঞ জনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে রসুন মাছের পেটের কৃমিনাশ করতে সহায়তা করে

১২) মাছের প্রজেক্টের গাছ রক্ষায় রসুন
পোকামাকড়ের হাত থেকে গাছ রক্ষায় রসুন দারুণ উপকারী। মিহি থেঁতো করা কাঁচা রসুন, নিম পাতা থেঁতো, কিছু গোমূত্র ও পানি সাবান একসাথে মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। এটা কিছুদিন পর পর গাছে স্প্রে করুন পোকামাকড় গাছের কাছে ঘেষতে পারবেনা, দূরে থাকবে,

১৩) রসুনে প্রচুর জিংক ও সেলিনিয়াম থাকায় চিংড়ি ও মাছের রং স্বাভাবিক থাকে।

১৪) রসুন ব্যাকটেরিয়া,প্রোটোজোয়া ও ছত্রাক জনিত রোগে অব্যর্থ ওষুধ ।পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন

Salah Uddin Sarker Tapan
Sarker AGRI Complex
(A Zero Budget Natural Farm)

রসুন আমরা পোল্ট্রিতে ব্যবহার করতে পারি ১লিটারে ১গ্রাম বা খাবারে ১০০কেজিতে ১০০গ্রাম

###কালমেঘ(এন্ড্রোগ্রাফিস পেনিকুলাটা)ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে

###বাসকঃসর্দির বিরুদ্ধে কাজ করে

###নিমঃকৃমির বিরুদ্ধে কাজ করে

###লেবুঃ ধকল কমায়

কালিজিরা  ব্যবহার,খাওয়ার নিয়ম এবং সতর্কতা নিয়ে কিছু আলোচনা

★কালোজিরা একটি মাঝারি আকৃতির মৌসুমী গাছ,একবার ফুল ও ফল হয়।

এর বৈজ্ঞানিক নাম: Nigella Sativa Linn।
ইংরেজি নাম: fennel flow

এর স্ত্রী,পুরুষ দুই ধরণের ফুল হয়, রং সাধারণত হয় নীলচে সাদা, পাঁচটি পাঁপড়ি বিশিষ্ট।কিনারায় একটা রাড়তি অংশ থাকে।
তিন-কোনা আকৃতির কালো রং এর বীজ হয়।
গোলাকার ফল হয় এবং প্রতিটি ফলে ২০-২৫ টি বীজ থাকে।
আয়ুর্বেদীয় , ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
মশলা হিসাবে ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে, এটি পাঁচ ফোড়নের একটি উপাদান।
বীজ থেকে পাওয়া তেল।

★কালোজিরার বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাসঃ—-

জগৎ: Plantae
(শ্রেণীবিহীন): Angiosperms
(শ্রেণীবিহীন): Eudicots
বর্গ: Ranunculales
পরিবার: Ranunculaceae
গণ: Nigella
প্রজাতি: N. sativa
দ্বিপদী নাম: Nigel’s sativa L.

★পুষ্টি সম্পর্কে তথ্যগুলি নিম্নরূপঃ—-

★কালোজিরার প্রতি পরিমাণ ১০০ g এ রয়েছেঃ—–
Calories (kcal) 344
লিপিড ১৫ g
কোলেস্টেরল ০ mg
সোডিয়াম ৮৮ mg
পটাশিয়াম ১,৬৯৪ mg
শর্করা ৫২ g
খাদ্যতালিকাগত তন্তু ৪০ g
প্রোটিন ১৬ g
ভিটামিন এ ১৩৫ IU
ভিটামিন সি ২১ mg
ক্যালসিয়াম ১,১৯৬ mg লোহা ১৮.৫ mg
ভিটামিন ডি ০ IU
সায়ানোকোবালেমিন ০ µg
ম্যাগনেসিয়াম ৩৮৫ mg

কালিজিরা পেটের জন্য ভালো।
মসলা বা উপকারী ঔষধির কথা উঠলেই কালো কালো এই মিহি দানার নামটা আসে।
কালিজিরা সবচেয়ে বেশি কাজে লাগে ওজন কমাতে।
যাঁরা সঠিক নিয়মে নিয়মিত কালিজিরা খান, তাঁরা দ্রুত ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন বলেই জানানো হয়েছে এনডিটিভি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে।
কালিজিরার ১২ গুণের কথা:—-

১. নিয়মিত কালোজিরা খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়।
এতে করে মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে; যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
যাঁরা অস্থিরতায় ভোগেন, তাঁদের জন্য কালিজিরা দারুণ উপকারী।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে।
এটি যেকোনো জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।

৩. রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।
যাঁরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের জন্য কালিজিরা খুব কার্যকর।
কালোজিরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়।
ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৪. কালোজিরা উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে।
পাশাপাশি রক্তে বাজে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে শরীরে রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখে।

৫. কালোজিরা নারী-পুরুষ উভয়ের যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে কালোজিরা খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
এটি পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও তৈরি করে।

৬. নিয়মিত কালোজিরা খেলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেলের পরিমাণ হ্রাস হতে থাকে।
ফলে রক্তসঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হৃৎপিন্ডের কোনো বাধার মুখে পড়তে হয় না।
তাই হৃদযন্ত্র থাকে সুস্থ এবং কর্মক্ষম।

৭. গেঁটে বাত বা অস্থিসন্ধির ব্যথা দূর করতে কার্যকর কালিজিরা।
কালোজিরার থেকে তৈরি তেল আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা দূর করতেও সাহায্য করে।

৮. যাঁরা মাথাব্যথায় ভোগেন, তাঁদের জন্য কালিজিরা উপকারী।

৯. কালোজিরার অন্যতম প্রধান গুণ হলো এটি ত্বকের কোমলতা ও লাবন্য বৃদ্ধি করে।
পাশাপাশি ত্বকের বিভিন্ন রোগ যেমন ব্রণ দূর করে।

১০. কালোজিরা মাথার ত্বকে অতিসূক্ষ রক্তনালীগুলোতেও রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ফলে চুল তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে শুরু করে।
তাই চুল পড়া রোধে দারুণ কার্যকর।

১১. যাঁরা অ্যাজমা বা হাঁপানির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্যও উপকারী।
প্রতিদিন কালোজিরার ভর্তা খেলে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা উপশম হয়।

১২. পাইলস, কোষ্ঠকাঠিন্য, যকৃতের সমস্যায় বা জন্ডিস থেকে দ্রুত সেরে উঠতে কালিজিরা বেশ দ্রুত কাজে লাগে।

কালিজিরার গুনাগুন!!
১। কালিজিরা খেলে কফ, জ্বর, গায়ের ব্যথা দূর হয়। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়।
২। কালিজিরা নিম্ন রক্তচাপ বৃদ্ধি এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩। মানুষের সাইনোসাইটিসের ব্যথা কমানো এবং ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে গেলে খুলে যাবে কালিজিরার গুনে। কেমনে? চা চামচের এক চামচ কালিজিরা হাতের তালুতে নিয়ে আঙুল দিয়ে ডলে নিন। তারপর পাতলা সুতি কাপড় দিয়ে ছোট্ট পুঁটলি তৈরি করুন। অতঃপর এক নাক বন্ধ করে অন্য নাক কালিজিরার পুটলিতে ঠেকিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিন। দেখবেন দ্রুতই নিঃশ্বাস সরল হয়ে গেছে
৪। শিশুদের কখনো ঠান্ডা লাগলে কিছু কালিজিরা ও সমপরিমাণ সরিষা একত্রে মিহি করে বেটে নিয়ে মাথার তালু ও বুকে প্রলেপ দিন। ওরা দ্রুত সেরে উঠবে।
৫। কফ, ও হাঁপানি সমস্যায় বুক ও পিঠে কালিজিরার তৈল মালিশ করুন দ্রুত উপশম পাবেন।
৬। কালিজিরা মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে আপনার স্মরণশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে তাই নিয়মিত কালিজিরা ভর্তা খাবেন।
৭। আপনার ঘুমের সমস্যা থাকলে কালিজিরা তৈল ব্যাবহার করুন মাথায় এবং শরীরে, দেখবেন সুন্দর ঘুম হচ্ছে।
৮। চায়ের সঙ্গে নিয়মিত আধা চামচ কালিজিরা মিশিয়ে অথবা কালিজিরার তৈল প্রতিবার ২০ ফোঁটা মিশিয়ে পান করুন এবং শরীরের মেদ দ্রুত সরিয়ে ফেলুন।
৯। যে কোন প্রকারের বাতের ব্যথায় কালিজিরার তেল ম্যাসেজ করুন
১০। কালিজিরা তে আছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল গুনাগুন যা শরীরের রোগ জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। অতএব নিয়মিত কালিজিরা খেলে শরীরে ঘা বা ফোড়া হয় না এমন কি রোগ উপশমে ক্ষেত্রেও কার্যকর।
১১। মাথাব্যথায় কপালে দিনে তিন-চারবার কালিজিরার তেল মালিস করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
১২। কখনো দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা উপশম হবে;মুখের ভেতরের জীবাণু ধ্বংস হবে।
১৩। অন্ত্রের জীবানু নাশ করে পেটের গ্যাস দূর করে দিতে কালিজিরার কোন বিকল্প নেই। এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চা চামচ পরিমাণ কালিজিরা মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে কালিজিরা টুকু থেকে সরিয়ে নিন এবং বাকি পানি চা এর মত করে পান করুন। প্রতিদিন নিয়মিত এই কাজটি করলে পেটের গ্যাস আস্তে আস্তে নিরাময় হয়ে যাবে।
১৪। কালিজিরা বহুমূত্র রোগে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা অতিরিক্ত পরিমাণ কমিয়ে দেয়। কালি জিরা গুড়া বা চূর্ণ ডালিমের খোসা চূর্ণের মিশ্রন এবং কালিজিরা তৈল ডায়াবেটিস উপশমে দারুণ উপকারী।
১৫। কালিজিরা প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ এবং দুগ্ধবতী মা এর শরীরে তার শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় দুধ উৎপাদনে সহায়ক।
১৬। প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটাতে অথবা শরীরকে নীরোগ রাখতে প্রতিদিন রাতে একটি পানের সাথে ১ চা চামচ কালিজিরা এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে থাকুন। আপনার শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে ইহা একটি বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে।
১৭। গবাদি পশুর ক্ষেত্রে কোন গাভী কিংবা বকনা দীর্ঘদিন অনুর্বর থাকলে অথবা সঠিক সময়ে হিটে না আসলে (গরম না হলে কালিজিরা ধন্বন্তরি ঔষধ হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন একটি গাভী বা বকনা কে ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম কালিজিরা চূর্ণ পশুর দানাদার খাবারের সাথে মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়াতে থাকুন ৩০দিন পর্যন্ত খাওয়াবেন। আশা করা যায় গাভী এর মধ্যেই গরম হবে। গাভীর দুধ বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও কালিজিরার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গাভীর রেশনে নিয়মিত প্রতিদিন প্রতি গাভীর জন্য ১৫ থেকে ২০ গ্রাম পরিমাণ কালিজিরা চূর্ণ মিশাবেন।

ডা. মো. নূরুল আমীন
অবসরপ্রাপ্ত বিভাগীয় উপ-পরিচালক ও
ন্যাশনাল লাইভষ্টক কনসালটেন্ট,

★খাবেন কীভাবেঃ—–

=> ওজন কমাতে কীভাবে খাবেন, জেনে নিন।
কয়েকটি কালিজিরার দানা নিয়মিত খেলে মেদ ঝরতে শুরু করবে।
কালিজিরায় আছে বিশেষ ধরনের ফাইবার বা আঁশ, যা অতিরিক্ত খাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে।
খাবারের মধ্যে একটু কালিজিরা মিশিয়ে নিলে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনি পুষ্টিগুণও বেড়ে যায়।

১. পানি, লেবু ও মধুর সঙ্গেঃ—-
হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে তা আগে খেয়ে ফেলুন।
এবার হালকা গরম পানির সঙ্গে কয়েকটি কালিজিরার বীজ খেয়ে ফেলুন। শেষে এক চামচ মধু খান।
কালিজিরা খাওয়ার আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে তাতে কালিজিরার গুঁড়া যোগ করা।
তিন-চারটি দানা গুঁড়ো করে লেবু-পানিতে যুক্ত করতে হবে।
কারণ, বেশি কালিজিরা যুক্ত করলে হজমে গোলমাল হতে পারে।
এরপর ওই পানির মধ্যে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
এতে মেদ কমবে পেশি সুগঠিত হবে।

২. লেবু ও কালিজিরাঃ—-
কিছু কালিজিরা একটি বাটিতে রেখে তার ওপর লেবুর রস চিপে দিন।
কালিজিরা ভিজে গেলে তা রোদে শুকিয়ে নিন আবার।
দিনে দুবার ৮-১০টি করে কালিজিরার দানা খান। পেটের চর্বি কমতে শুরু করবে।

৩. সবজিতেঃ—-
যখনই কোনো সবজি গ্রিল করবেন, চাটনি বা সালাদ বানাবেন, তখন পুষ্টিগুণের কথা মাথায় রেখে কয়েক দানা কালিজিরা যুক্ত করুন।
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর নিরাপদ পদ্ধতি এটি।

★কালোজিরার ব্যবহারঃ—–

১. তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাঁটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোড়ার উপশম হয়।
রুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালিজিরা সহায়তা করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কালিজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

২. চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।

৩. কালোজিরা চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরা তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।

৪. চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ ও বিগলিত হয়।

৫. মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।

৬. কফির সাথে কালোজিরা সেবনে স্নায়ুবিক উত্তেজনা দুরীভুত হয়।

৭. জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়।

৮. কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান।
এই উপাদানের জন্য -শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।

৯. সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।

১০. মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

১১. দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।

১২. কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে।

১৩. কালিজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে।
কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।

১৪. দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে।

১৫. নারীর ঋতুস্রাবজনীত সমস্যায় কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়।

১৬. কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়।
এর তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা হয়।

১৭. প্রসূতির স্তনে দুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য, প্রসবোত্তর কালে কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালিজিরা খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে।

১৮. প্রস্রাব বৃদ্ধির জন্য কালিজিরা খাওয়া হয়।

১৯. কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য অতি উতকৃষ্ট ঔষধ।

★সতর্কতা★
কখনোই বেশি পরিমাণ কালিজিরা একবারে খাবেন না। এতে পিত্ত সমস্যা হতে পারে। সন্তানসম্ভবা নারীদের ক্ষেত্রেও কালিজিরা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, কালিজিরা শরীর অতিরিক্ত গরম করে।

(ছবি ও তথ্যসূত্রঃ স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল দেহ ও অন্যান্য)

#Example_of_some plants or plant extract & spices available in BD market:
1. Botanical essential oil from
a) Oreganum vulgarae
b) Thymus valgaris
c) Pimpella anisum
d) Melaleuka alternafolia
e) Eucalyptus globulus
f) Mentha piperita
#Example:
a. Orego Plus Liquid (Square)
Botanical essential oil (abcd)
Dose: 1-2ml/10 Lit drinking water
b. Orego STIM (Navana)
Oreganum oil only
Dose: 1ml/Lit drinking water
c. Aromax Liquid (Square)
Respiratory solution of botanical essential oil (b+e+f+menthol)
d. Arolief (PVF Agro)
Dose: 1ml/10lit drinking water, 10ml/lit water for spray
2. Yucca cxtract from Yucca shidigera
#Example:
a. Yuccamax NH liquid (Square)
Ammonia reducer & growth enhancer
Dose: 1ml/7-8 lit water
b. Yucca solution (Opsonin)
c. Ammocure Solution (ACME) etc
3. Silymarin from Sylibum marianum
#Example:
a. Hepacef Gold Liquid (Square)
Liver tonic enriched with Sylimarin
Dose: Chicks/Grower-10ml/100birds
Layer: 20ml/100 birds
Large animals : 100ml daily
Small animal : 50 ml Daily
4. Extract nuxvomica, Extract eclipta, Cinnamom, Methica
a. Digestim Liquid (Square)
Liver tonic, kidney tonic & appetizer
Dose: Chicks 10ml/100birds
Grower: 20 ml/ 100birds
Layer: 30ml/100birds
Large animal: 100ml
Small animal: 50ml
5. Extract from
a) Asparagus recemosus (Shatavari Herb)
b) Reptadenia reticulate (Jivanti herb)
Example:
a. Promilk Bolus
Milk enhancer & increase fertility
6. Andographolide & andographis from Andographis peniculata
a. Andopan Powder (Square)
For pre. & treatment of viral diseases
1gm/50-25 kg b.w.
7. Allicin & Dyallyl sulfide extract from
Alium sativum
Example:
a. Allicom powder (Avon)- 1gm/lit water
b. Allicom-S solution (Avon)-1ml/lit water
8. Solanum xanthocarpam, Asparagus racemosus, Aloe barbadensis, Trichosanthes dioica
Example:
a. Eg Max (Biocare Agro)
Dose: 50g/100kg feed
9. Andographis peniculata, Eclipta alba, Solanum nigum, Terminalia chebula
Example:
a. KC Vet (SK+F)-Kidney tonic
Dose: 1ml/Lit water
10. Isoflavon (phytoestrogen) from Fabacae family
Example:
a. Immune flavon powder (Avon)
Dose: 100-150g/100kg feed
11. Turmeric (Traditional)
Dose: 100-200g/100kg feed
12. Black cumin (Traditional)
Dose: 100-200g/100kg feed
13. Papain, Chirata extract, Ajwan oil, Extract nuxvomica
Example:
a. Nutriplex Liquid (Square)
Enzyme with carminative action
Dose: 1ml/Lit drinking water.

N.B.: Max. products are imported and marketed by mentioned company.

 উপরের হার্ভাল প্রডাক্টস গুলির নাম কালেক্ট করেছেন ডা  মো আশরাফুল
Please follow and like us:

About admin

Check Also

লবঙ্গ

লবঙ্গ (Syzygium aromaticum, অন্য নাম Eugenia aromaticum or Eugenia caryophyllata) এক প্রকারের মসলা ও ভেষজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »