———————-*—————*——————————-
বাড়িতে, ফ্রেন্ড সার্কেলে প্রায়ই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। তাদের ধারনা দেশী মুরগীর ডিমে পুষ্টি বেশী! তাদের এই ধারনা যে সম্পূর্ণ ভুল আসুন, তার কারন দেখে নিই:-
১. ফার্মের মুরগীকে যে খাবার খাওয়ানো হয় তাতে আমিষ, শর্করা, ক্যালসিয়াম, আ্যামাইনো এসিড সহ সকল পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা হয়। অর্থাৎ ব্যালান্স খাবার খাওয়ানো হয়। যা ডিমের পুষ্টি উপাদান।
কিন্তু দেশী মুরগীকে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন সহ অন্যান্য উপাদান পরিমান মত পায় না। ফলে দেখা যায় অনেক সময় পাতলা খোসা দিম পারে।
২. ডিমে কি পরিমান পুষ্টি উপাদান থাকবে তা নির্ভর করে ডিমের ওজনের উপর। ফার্মের ডিম অনেক বড় (৫০-৫৫গ্রাম) হয় দেশী মুরগীর ডিমের (২৫-৪০ গ্রাম) তুলনায়। এজন্য পুষ্টি উপাদানও পরিমানে বেশী থাকে।
৩. ফার্মে অনেক স্বাস্হ্যসম্মত উপায়ে মুরগী পালন করা হয়। অনেক জ্যুনটিক রোগ (যেমন বার্ড ফ্লু) ডিমের কন্টাক্ট এ মানুষের মধ্যে আসতে পারে তা কন্ট্রোল করা হয়। কিন্তু দেশী মুরগীতে কোন স্বাস্হ্যসম্মত কন্ডিশন পালন করা হয় না।
৪. অনেকে বলেন, ফার্মের মুরগী অনেক ডিম দেয়। এজন্য তাদের ডিমে পুষ্টি কম!
আসলে এটা জেনেটিক ব্যাপার। ঐ জাতের মুরগীর বৈশিষ্ট্যই হল বেশী ডিম দেওয়া। দেশী মুরগীকে যতই খাওয়ান কিন্তু আপনি কখনওই বছরে ১৫-২০ টির বেশী ডিম পাবেন না।
৫. কুসুম গাঢ় হলুদ অনেকেই পছন্দ করেন! আসলে কুসুমের কালারের সাথে পুষ্টির কোন পার্থক্য হয় না। ভুট্টা খাওয়ালেই ডিমের কুসুম গাঢ় হলুদ হয়।
৬. ডিমের খোসার কালারের উপর পুষ্টির কোন কম বেশী হয়না। অর্থাৎ সাদা, বাদামী বা অন্য যেকোন কালারের ডিমই হোক না কেন সব ডিমের পুষ্টিমান সমান।
৭. অনেকেই মনে করে থাকেন দেশী ডিমের স্বাদ বেশী। এটা আসলে তার নিজের উপর নির্ভর করে। আমার মনে হয় না যে তাকে দেশী বা ফার্মের মুরগীর ডিম ভেজে দিলে আলাদা করতে পারবে।
৭. আর একটা কথা, বিদেশে কিন্তু কোন দেশী মুরগী নাই। 😜 তারা কিন্তু ফার্মের মুরগীর ডিম ই খায়। তাদের ব্রেন বুদ্ধি কিন্তু আমাদের থেকে কম না।
এজন্য অবশ্যই দেশী মুরগীর ডিমের থেকে ফার্মের ডিম অধিক পুষ্টিকর। প্রত্যেক মানুষকে দিনে কমপক্ষে ১ টি করে ডিম খাওয়া দরকার। আসুন ডিম খাই, সুস্হ থাকি।
Written By: ShOhel Rana,HSTU.