Breaking News

ঘোল বা মাঠার শরবত তৈরির নিয়ম:

ঘোল বা মাঠার শরবত তৈরির নিয়ম:

গরমকালে দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় ও সূর্য রশ্মির তাপে শরীর থেকে প্রচুর পানি বাহির হয়ে যায়। এই পানির ঘাটতি পূরণের জন্য অনেক বেশি তরল পান করা প্রয়োজন। আর এই ঘাটতি পূরণের জন্য ঘোল হতে পারে আদর্শ। তাই ঘোল তৈরি করার কয়েকটি রেসিপি জেনে নেই আসুন।

ঘোল বা ছানার পানি বিভিন্ন দেশে একটি উপাদেয় পানীয় হিসেবে পরিচিত। দুধ হতে ছানা অপরাসরণের পর অবশিষ্ঠাংশই ঘোল নামে পরিচিত। এতে দুধের কেজিন প্রোটিন (Casein) ছাড়া আর সকল উপাদানই বিদ্যমান। এটি মূলত পনির উৎপাদনের একটি প্রধান উপজাত।
তাই পনিরের ব্যবসার সাথে ঘোল বা মাঠার ব্যবসা ও জড়িত।

১। লেবু ও ঘোল-
২ টেবিল চামচ দই ১ গ্লাস পানিতে দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। স্বাদের জন্য সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। একটি লেবুর অর্ধেক অংশের রস চিপে দিন। ক্লান্তিকর দিনের শেষে বাসায় ফিরেই এই পানীয়টি পান করুন।

২। কাঁচামরিচ ও ঘোল-
দই, পানি, কাঁচামরিচ ও কারিপাতা একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। কাঁচামরিচ ও কারিপাতা হামানদিস্তায় পিষে নিয়েও ঘোলের সাথে মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি একটি দক্ষিণ ভারতীয় উপাদেয় পানীয়। যারা মসলাদার পানীয় খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য অতুলনীয়।

৩। জিরা ও ঘোল-
সুস্বাদু ও কম মসলা যুক্ত স্বাদের জন্য আধা কাপ দই এর মধ্যে আধা টেবিল চামচ জিরা গুঁড়ো, এক চিমটি লবণ ও এক কাপ পানি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। আপনি এতে কয়েকটি পুদিনা পাতা বা ধনে পাতাও দিতে পারেন। সব শেষে এক টুকরো বরফ দিয়ে পান করুন।

৪। খনিজ লবণ ও ঘোল-
খনিজ লবণ ও জিরা গুঁড়ো ঘোলের সাথে মিশান। পানীয়টি যাতে ঘন না হয়ে কিছুটা পাতলা হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এর সাথে পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিতে পারেন।

৫। পুদিনা ও ঘোল-
এক বাটি তাজা পুদিনা পাতা, এক কাপ দই এবং ৩০০ মিলিলিটার পানি মিশান। এর সাথে আদা গুঁড়ো ও আধা টেবিল চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে দিন। তারপর পানীয়টি ছেঁকে নিন এবং ফ্রিজে ২০ মিনিট রেখে পান করুন।

এই ঘোলের রেসিপিগুলোর যেকোনটি পান করে শীতল হোন এই উষ্ণ আবহাওয়ায়।

ঘোলের উপকারিতা:
১. বদহজম রুখে দেয়
২. পেট ঠান্ডা করে
৩. হজম ক্ষমতা বাড়ায়
৪. ভরপুর ক্যালসিয়াম
৫. রোগা হতে সাহায্য করে
৬. পুষ্টিতে ঠাসা
৭. কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেসার ও ক্যান্সারের যম
৮. ডিহাইড্রেশন হয় না
৯. দুধে অ্যালার্জি থাকলে ঘোল খাওয়া যায়।

ঘোল বা মাঠা তৈরি করে বাজারজাত করার মাধ্যমে অনেক ডেয়রি খামারিরা ব্যবসার নতুন জানালা খুলতে পারেন।

ডঃ মোঃ শাহিন মিয়া
ভেটেরিনারি সার্জন
বিসিএস প্রাণিসম্পদ
চৌদ্দগ্রাম কুমিল্লা।
০১৭১৬১৬২০৬১(ইমু নাম্বার)

Please follow and like us:

About admin

Check Also

দেশের মোট প্রোটিনের সরবরাহ ৭৬% আসছে প্রানিসম্পদ হতে, ২৪% আসছে ফিশারিজ হতে।

দেশের মোট প্রোটিনের সরবরাহ ৭৬% আসছে প্রানিসম্পদ হতে, ২৪% আসছে ফিশারিজ হতে- একটি পর্যবেক্ষণ ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »