খামারীর প্রধান সমস্যা/ক্ষতির কারণ
১।মুরগি অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে যায়,অথচ ফার্ম করার আগে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে পরে সেড বানানোর দরকার ছিল। ৯৯% খামারী তা করেন।
২।খামারী তার নিজের ভাল বুঝার মত শিক্ষা নাই।খামারী যা করে তার অধিকাংশই তাদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩.১০০০ টাকা বাচাতে গিয়ে ১লাখ টাকা লস করে।
৪.৩-৫বছর মুরগি পালার পর মনে করে আমি সব বুঝি।এখন প্রশ্ন হল সব যদি বুঝে থাকেন তাহলে ৭-১০বছরের মাথায় আপনাদের কেন খুজে পাওয়া যায় না।
৫।নিজেই ফার্মে চিকিৎসা করে বা ডিলারের কথা অনুযায়ী কাজ করে যার ফলাফল ভাল না। এমন কি কিভাবে ক্ষতি হল তাও বুঝা যায় না। বুঝতে পারেনা কারণ খামারী/ডিলার যা ই করুক না কেন সাথে সাথে কোন মুরগি মারা যায় না বা ডিম কমে যায় না।ক্ষতি টা চোখের আড়ালে হয়ে যায় যেমন আমাদের শরীরের বাহিরে কোন কিছু হলে দেখতে পারি কিন্তু রক্তের ভিতর কি হচ্ছে আমরা বুঝি না।
৬।কক্সিডিওসিসের ডোজ ঠিক মত দেয় না।এখানে একটা নিয়ম আছে যা মানা হয় না।যার কারণে চিকিৎসা করেও লাভ হয় না।আবার কক্সি ফিরে আসে বা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৭।বায়োসিকিউরিটি মেনে চলে না ।তাছাড়া জানেও না।
৮।ব্যবস্থাপনার কথা বললে পছন্দ হয় না চিকিৎসা দিলে খুশি হয়।
মুরগি ঠোকরা ঠোকরি করে কারণ আলো বেশি দিয়েছে,তাছাড়া মুরগি ঘন।
ডাক্তার আলোর তীব্রতা কমানোর কথা বলেছে আর জায়গা বাড়িয়ে দিতে বলেছে।থচ ডাক্তার চলে আসার সময় খামারী বললো স্যার মুরগির চিকিৎসা ত দিলেন না।এক্টা প্রস্ক্রিপশন করে দেন স্যার।এন্টিবায়োটিক না দিলে মনে করে কিছুই হলনা।
খামারীকে বুঝতে হবে চিকিৎসা দিয়ে ফার্মে লাভ করা যায় না ব্যবস্থাপনা দিয়েই ফার্মকে রোগের হাত থেকে বাচানো যায়,লসের হাত থেকে বাচা যায়।তবে ১০০% বলতে কোন কিছু নাই।ভাগ্যের ব্যাপার ও আছে।
৯।একজন দক্ষ ডাক্তার কখনো খামারীর কাছ থেকে টাকা/অর্থ নেয় না,ডাক্তার মুরগির উন্নতি করে যে অতিরিক্ত ডিম বা ওজন আসে বা মেডিসিনের খরচ কমায় বা মরার হাত থেকে বাচিয়ে যে লাভ হয় সেখান থেকে কিছু অংশ নেয়।খামারীরা অনেক অপচয় করে বা এমন কিছু মেডিসিন বা এন্টিবায়োটিক দেয় যা না দিলেো হত,এমন কি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
১০।বাকিতে পোল্ট্রি ব্যবসা যা খামারীর ক্ষতির/লসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়ঁ।
১১।ট্রেনিং না নিয়ে ফার্ম শুরু করে দেয়(এখন অবশ্য খামারীদের ট্রেনিং এর যুযোগ আছে যেমন (পোল্ট্রি খামারই ট্রেনিং গ্রুপ) ০১৭১৭৩০০৭০৬
১২।ভ্যাক্সিনেশন,পর্দা ব্যবস্থাপনা,লিটার ব্যবস্থাপনা,সিজনাল ব্যবস্থাপনা,কৃমি ব্যবস্থাপনা,কক্সি ব্যবস্থাপনা,স্টেস ব্যবস্থপনা,মেডিসিন ব্যবস্থাপনা,ফিডিং সিস্টেম,লাইটিং সিস্টেম,হাউজিং সিস্টেম,বায়োসিকিউরিটি,বডি ওয়েট,ইউনিফর্মিটি,ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা সব কিছুতে সমস্যা আছে।.
১৩। ফার্মে সমস্যা হলে ডিলার,খামারী ও ডাক্তারের সাথে পয়ামর্শ করবে।অথচ উচিত ছিল শুধু ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা।তাছাড়া কয়েকজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে যা ঠিক না কারণ একেক ডাক্তারের একেক ধরণের চিকিৎসা হবে যা দেখে খামারী নিজের মত করে চিকিৎসা দেয়।
১৪।সঠিক নির্ধেশনা দিলে মেনে নিতে চায় না কারণ অনেক দিন ধরে যা করছে তাকেই সঠিক মনে করে।ভাল খারাপ,ভুল শুদ্ধ সময়ের উপর নির্ভর করে না,নির্ভর করে বিজ্ঞান ও তথ্য এর উপর।
১৫।আমি যা করেছি ভুল করেছি,ডাক্তার যা করবে আমি তাই মেনে নিবো।এই শর্ত যে খামারী মানবে সে ভাল থাকবে বাকিটা ভাগ্য।
১৬।খামারী সব শিখতে বা জানতে চায় যা আশা করা ঠিক না কারণ ডাক্তার ৫বছর পড়াশুনা ও প্র্যাক্টিস করে যা শিখে তা কিভাবে কয়েক মিনিটে বা মাসে বা বছরে জানা সম্বব?যেমন ভ্যাক্সিন ফেইলরের প্রায় ১৫টি কারণ আছে খামারী কয়টা জানে বা জানানো যায়।তাছাড়া ঠান্ডা লাগা বলতে খামারী যা বুঝে বাস্তবে কিন্তু শ্বাসনালীয় সব ডিজিজকেই বুঝায় কিন্তু খামারী ১টা ডিজিজকে বুঝে।
খামারী মুরগির রোগ বলতে সাল্মোনেলা,মাইকোপ্লাজমা বা ঠান্ডা লাগা বুঝে আসলে মুরগিতে প্রায় ৪০ এর উপরে ডিজিজ /সমস্যা হয়।
নোটঃ
সব খামারির এই সমস্যা না তবে ৮০-৯০% খামারী এই ক্যাটাগরীর।একেক জনের একেক সমস্যা।
ডাক্তারের কাজ হল ব্যবস্থাপনা,ডিজিজ ডায়াগ্নোসিস,চিকিৎসা,প্রোগ্নোসিস,ফিড ফর্মুলেশন।মুরগি সুস্থ হবার সাথে ডাক্তারের কোন সম্পর্ক নাই যা খামারীদের জানা নাই।তবে ডায়াগ্নোসিস যদি ঠিক না হয় এবং চিকিৎসা ভাল না হয় তাহলে ভাল রিজাল্ট পাওয়া যাবে না।তাছাড়া কিছু ডিজিজ্জের ক্ষেত্রে বা ব্যবস্থাপনার ভুলের কারণে সব সময় সব সমস্যা সমাধান করার সুযোগ থাকে না।এটা জানোট ও মানতে হবে।