ক্যাঙ্গারু নিয়ে মজার কিছু তথ্য যা এদের অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করে-
১) পৃথিবীর সর্ববৃহৎ Marsupial হচ্ছে ক্যাঙ্গারু। ল্যাটিন ‘Marsupium’ মানেই Pouch বা থলে (যদিও সব মারসুপিয়ালের থলে থাকেনা)।
২)এই থলের মধ্যেই তাদের ৪টি দুধের বাট থাকে (তাই একসাথে ৪টা বাচ্চা দিতে সক্ষম এরা, কিন্তু এইটা খুবই রেয়ার)।
৩)ক্যাঙ্গারুর বাচ্চা ৪ মাস পর্যন্ত সম্পূর্ণ মায়ের থলিতে থাকে। এসময় তারা সেখানেই মূত্র, বিষ্ঠা ত্যাগ করে। লিকুইড অংশ থলিতেই শোষিত হয়ে যায় এবং সলিড অংশ মা জিহ্বা দিয়ে পরিষ্কার করে। ৮ মাস পর্যন্ত এরা মায়ের থলে ব্যবহার করে।
৪) ক্যাঙ্গারুর ভ্যাজাইনা তিনটা, সেইসাথে তাদের ইউটেরাসও (জরায়ু) ২টা। মাঝখানের ভ্যাজাইনা ইউটেরাস থেকে বাচ্চা পরিবহনের কাজে আর ডান ও বামের ভ্যাজাইনা দুইটা বীর্য পরিবহণের কাজ করে।
৫) তাই পুরুষ ক্যাঙ্গারুরও ডাবল পেনিস থাকে, দুইপাশের দুইটি ভ্যাজাইনাতে কোপুলেশন করার জন্য।
৬) অন্যান্য প্রাণির যেমন পুরুষাঙ্গ, স্ক্রোটাম এর সামনে থাকে, এদের উলটা। এদের পেনিস, স্ক্রোটামের পেছনে থাকে।
৭) ক্যাঙ্গারু প্রজাতি মাত্র ৪ টা। এর মধ্যে রেড ক্যাঙ্গারু প্রায় ২মিটার লম্বা, ৭০-৮০ কেজি পর্যন্ত ওজনদার হলেও এদের বাচ্চা হয় মাত্র আড়াই_সেমি (2.5cm)।
৮) স্ত্রী ক্যাঙ্গারু বাচ্চা জন্মের আগেই বাচ্চার sex determine করতে পারে।
৯) স্ত্রী ক্যাঙ্গারু বাইরের পরিবেশের উপর নির্ভর করে gestation period বাড়াতে সক্ষম। প্রতিকূল পরিবেশে এরা gestation period বাড়িয়ে দেয়।
১০) ক্যাঙ্গারু দুই ধরণের দুধ দেয়। সদ্য জন্ম নেয়া বাচ্চা এবং অপেক্ষাকৃত বড় বাচ্চার জন্য আলাদা দুধ দের মা ক্যাঙ্গারু।
১১) ক্যাঙ্গারু পিছন দিকেও হাঁটতে পারেনা আবার দুই পা আলাদা আলাদাভাবে চালাতেও পারেনা (সাঁতারের সময় ছাড়া। ক্যাঙ্গারু ভাল সাতার কাটতে পারে)। তাই দুই পা একসাথে চালিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে (Hopping) চলাচল করতে হয় তাকে।
১২) ক্যাঙ্গারুর পা খুবই শক্তিশালী। এগুলা চলা এবং লড়াইয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া এদের পেশীবহুল লেজ এদের থার্ড লেগ হিসেবে কাজ করে।
১৩) ক্যাঙ্গারু সাধারণত ৬ বছর বাচলেও সর্বোচ্চ রেকর্ডকৃত বয়সী ক্যাঙ্গারু ছিলো ২৫ বছরের।
১৪) অস্ট্রেলিয়ার মোট মানুষ সংখ্যার চেয়ে ক্যাঙ্গারুর সংখ্যাই বেশি।
১৫)প্রতিবছর হাইওয়েতে যেসব প্রাণি গাড়ি এক্সিডেন্ট করে, তার ৮০%ই ক্যাঙ্গারু।
©Labib Veto page