Breaking News

ঔষুধি_গুনে_ভরা_সরিষার_দানা_প্রাকৃতিক_এন্টিবায়োটিক_এর_প্রাচুর্যপূর্ন_ভান্ডার

#ঔষুধি_গুনে_ভরা_সরিষার_দানা_প্রাকৃতিক_এন্টিবায়োটিক_এর_প্রাচুর্যপূর্ন_ভান্ডার

সরিষা বা সরষে ব্রাসিকা (Brassica) বা ক্রুসিফেরি (Cruciferae) গোত্রের কয়েক প্রজাতির তেল প্রদায়ী দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ।এর ডিম্বক বক্রমুখী ৷ সরিষার দানা মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও সরিষার দানা পানির সাথে মিশিয়ে ভিনেগারসহ বিভিন্ন তরল তৈরি করা হয়, দানা পিষে সরিষার তেল তৈরি করা হয় যা রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। এর ওষুধি গুণাগুণের জন্য প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই তেল। সরিষার তেল যেমন প্রয়োজনীয় তেমন উপকারীও। ভারতীয় উপমহাদেশে খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ থেকে সরিষার ব্যবহার হয়ে আসছে। সরিষার তেল উদ্দীপক হিসেবে পরিচিত। অন্ত্রে পাচকরস উৎপাদনে সাহায্য করায় হজমপ্রক্রিয়া দ্রুত হয়। এ ছাড়া একই প্রক্রিয়ায় ক্ষুধা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

সরিষার পাতা সরিষার শাক বা সর্ষে শাক হিসেবে খাওয়া হয়।সরিষার তেল,বীজ,লতা,মূল সবকিছুই ঔষধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সেই প্রাচীনকাল থেকেই সরিষা ও এর তেল বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে৷ সরিষার তেল বা প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে কোনো পার্শ্বIপ্রতিক্রিয়া নেই এবং তা সহজেই হজম হয়৷

প্রাকৃতিক এই উপাদানের গুণের কথা বিভিন্ন সমীক্ষা থেকেও জানা গেছে৷ জার্মানির হাইডেলবার্গ এবং মারবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরাও সরিষার তেলের এই গুণ, অর্থাৎ রোগের জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতার বিষয়ে একমত হয়েছেন৷

নানাবিধ উপকারি ফ্যাট, ডায়াটারি ফাইবার, ভিটামিন সি,এ,ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং আয়রনে ঠাসা এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ।

গ্রীক চিকিৎসক হিপোক্রেটিস এর আগের যুগ থেকেই চিকিৎসা কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে এটি। সাদা, বাদামী এবং কালো এই ৩ প্রকারের সরিষা বীজ পাওয়া যায়। সারা বিশ্বের মানুষ এটি ব্যবহার করছেন। গ্রীক, রোমান, এশিয়ান এবং আফ্রিকানরা তাদের খাবারে ব্যবহার করে থাকেন সরিষা বীজ। সহজলভ্যতা এবং খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি করা ছাড়াও সরিষা বীজের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে।

এই সরিষা যে শুধুমাত্র মশলা নয় তা হয়তো অনেকেরই অজানা। এর ঔষুধিগুণ এত বেশি যে, তা বলে শেষ করা যাবে না।পোল্ট্রি খামার ব্যবস্থাপনায় ভেষজ ঔষধি সরিষা ও এর পাতার গুরুত্ব অপার,,,
আসুন জেনে নেই সরিষার কিছু উপকারিতার কথা——-

? সরষের মধ্যে আছে সেলেনিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। হাঁপানি, ঠান্ডা জ্বর, সর্দি, কফ, কাশি ইত্যাদি থেকে রেহাই দিতে পারে সরষে।

? সরিষা বীজে (Musterd Seed) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ,সি,কে এবং সালফার, যা ত্বকের ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র ক্ষতিকর জীবাণুরা মারা যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রমণে (Skin Infection) আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় থাকে না বললেই চলে।

? পোল্ট্রির শ্বসনতন্ত্রে কোন সমস্যা যেমন- কফ জমে যাওয়া থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে সরিষা বীজ।

? সরিষায় বিদ্যমান মিনারেল যেমন লোহা, ম্যাংগানিজ, কপার, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ক্যালসিয়াম, যা পোল্ট্রির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

? পোল্ট্রির হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে সরিষা বীজ। মল নির্গমনে সাহায্য করার মাধ্যমে সার্বিক বিপাক প্রক্রিয়ার উন্নতিতে সাহায্য করে সরিষা বীজ।

? সরিষা দানায় রয়েছে সালফার, ফাইবার, বিভিন্ন ছত্রাকনাশক ও জীবাণুনাশক উপাদান, যা পোল্ট্রির ক্ষত ও চর্মরোগ প্রতিরোধ করে।

? এটি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি উদ্দীপক। এটি পোল্ট্রির রক্ত সঞ্চালন, হজম প্রক্রিয়া এবং হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

? সরিষা দানা ক্যারোটিন ও লুটেনিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এছাড়াও এতে ভিটামিন এ, সি ও কে বিদ্যমান। সব মিলে এটি একটি অনন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

? সরষে দানা ভিটামিন বি-কমপ্লেক্সের সহজলভ্য একটি উৎস। এতে ফোল্যক্স, নিয়াসিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, পাইরিডোক্সিন, প্যান্টোথেনিস প্রভৃতি উপাদান বিদ্যমান।ফলে পোল্ট্রির কাটা, ছেড়া ,ঘা , হার বা পা বেকা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি প্রতিহত করে।

☢️☢️ ব্যবহারবিধি ☢️☢️

↪️ সরিষার দানা পেস্ট বা গুঁড়া ১চা চামুচ ১লিটার পানিতে দিতে হবে ।
↪️ সরিষার দানা ২-৩ গ্রাম 1 কেজি খাবারের সাথে মিশানো যেতে পারে।
↪️ সরিষার পাতা কুচি করে কেটে পোল্ট্রি বা পাখিকে খাওয়ানো যাবে।
↪️ সরিষার তেল ১/২চা চামুচ ১লিটার পানিতে দিতে হবে।

⚠️⚠️সতর্কীকরণ⚠️⚠️

↪️ সরিষার চূর্ণ বা গুঁড়ো ২মাসের বেশি সংরক্ষণ করে রাখা যাবে না।।এতে গুনাগুন নষ্ট হয়ে যায়।

↪️ নকল বা ভেজাল সরিষার তেল ব্যবহারের ফলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে বেশি।

↪️ সরিষার তেল কখনো খাবারের সাথে মিশিয়ে বা পরিমান বিহীন মাখিয়ে পোল্ট্রিকে খাওয়ানো যাবে না।পরিমান মত পানিতে দিতে হবে।

নিয়মিত সরিষার ব্যবহারের ফলে খামারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ব্যাপক উপকার পাওয়া সম্ভব।সবচেয়ে বড় বেপার ওষুধের খরচ কমে যাবে অধিক অংশে।সরিষার ব্যবহারে পোলট্রির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে এবং সুস্থ সবল ভাবে বেড়ে উঠবে।প্রকৃতিতে সব রকম রোগের ওষুধ ই বিদ্যমান।।এবং সরিষা হলো প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক ও এন্টিবায়োটিক,, যা যে কোনো রকম পার্শপতিক্রিয়া ছাড়াই মহাওষুধির ভূমিকা পালন করে।
তাই আমাদের উচিত সরিষার ব্যবহার বাড়িয়ে,উপকৃত হওয়া।।

???Accept nature’s gift ,, be and keep healthy?️?️?️?️???

Compileted and originated by

Joya K Ahmed

Please follow and like us:

About admin

Check Also

লবঙ্গ

লবঙ্গ (Syzygium aromaticum, অন্য নাম Eugenia aromaticum or Eugenia caryophyllata) এক প্রকারের মসলা ও ভেষজ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »