Breaking News

পোল্ট্রি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা

পোল্ট্রি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা (পর্ব-১)

পোল্ট্রি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দিক থেকে পোল্ট্রিতে দুটি স্তর বা মাত্রায় রোগের তীব্রতা দেখা যায়।

১. সাব-ক্লিনিক্যাল (sub-clinical): সাব-ক্লিনিক্যাল হলো সেই অবস্থা যখন ফ্লকে রোগের কোন লক্ষ্যণ পরিলক্ষিত হয় না।অর্থাৎ বার্ডস্ (ফ্লক) কোন প্রকার অসুস্থতা প্রদর্শন করে না।কিন্তুু উক্ত ইনফেকশানের কারনে গ্রোথ ধীরগতি হয়ে যায়।আবার ফ্লকের সাব-ক্লিনিক্যাল ফর্ম বিভিন্ন অর্গানিজম (অনুজীব) কে উৎসাহী করে তোলার মাধ্যমে সেকেন্ডারী আক্রমনকে পূর্বাহ্নেই অনুরাগী করান।অর্থাৎ ফ্লককে পরবর্তীতে রোগে আক্রান্ত হওয়ার জন্য সহজতর করে তোলে।
ফ্লকের সাব-ক্লিনিক্যাল অবস্থার একমাত্র স্বাক্ষী এদের নিম্ন উৎপাদন ক্ষমতা (Under weight production)।যা ফ্লকের performance বিশ্লেষণের মাধ্যমে খুজে বের করা যায়।
<=>অর্থাৎ আমরা সাধারন খামারিরা ফ্লক বিক্রয় করা সময় বুঝতে পারি যে খামারের ফ্লক কাঙ্খিত ওজনের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করে নি।
এমন সমস্যার একটি প্রধান কারণ হতে পারে ফ্লক প্রথম থেকেই সাব-ক্লিনিক্যাল অবস্থায় থাকা।
তবে কাঙ্খিত ওজনের লক্ষ্যে আসতে না পারার এটিই একমাত্র কারণ নয়।খামার ম্যানেজমেন্টগত বেশ কয়েকটি কারণ এর সাথে জড়িত আছে।
সচেতনতা :ফ্লক সাব-ক্লিনিক্যাল ফর্মে আছে কিনা বোঝার জন্য নিয়মিত এদের ওজন,গড় ওজন দেখতে হবে।এবং নিয়মিতভাবে production performance এর রেকর্ড কিপিং রাখতে হবে।যার মাধ্যমে এদের performance বিশ্লেষণ করা যাবে।

২.ক্লিনিক্যাল (Clinical)
ক্লিনিকেল ডিজিজ হলো সেই রোগ সমূহ যেখানে ফ্লকের অসুস্থতা বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হয়।অর্থ্যাৎ এসময় ফ্লক ঐসব লক্ষ্ণণ প্রদর্শন করে মূলত যে রোগে তারা আক্রান্ত।।
ক্লিনিক্যাল ডিজিজ শুধু production performance কেই প্রভাবিত করে না,এর কারনে প্রচুর মর্টালিটি হয়ে থাকে।এমনকি আক্রান্ত ফ্লক গুলো সুস্থ হলেও পূর্বের performance পূনরায় লাভ করতে পারে না।।মূলত পূর্বের ঘারতি রয়েই যায়।
এমনকি রোগ অক্রান্ত বার্ডস্ রোগমুক্ত হলেও এটি জীবাণূবহনকারী মাধ্যম হতে পারে।যার মাধ্যমে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জীবাণু অন্য সুস্থ ফ্লকে স্থানান্তর হতে পারে।।

পোল্ট্রি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা (পর্ব-২)
রোগ হলো এমন একটি অবস্থা যা কোষ, টিস্যু, অঙ্গ এবং সমগ্র শরীরের সিস্টেমগুলির স্বাভাবিক কার্যকারিতাতে হস্তক্ষেপ করে পুরো শারীরিক কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করতে শুরু করে।
বিভিন্ন কারণে পোল্ট্রি বার্ডস্ রোগ আক্রান্ত হয়ে থাকে।যেমন-
√ প্রয়োজনীয় পুষ্টিমানের ঘারতি যেমন :ভিটামিন, মিনারেল,অথবা অন্যকোন পুষ্টির অভাব।
√ বিষাক্ত(toxic) পদার্থ গ্রহণ করা।
√ শারীরিক ক্ষতি যেমন পরিবেশগত কারণ বা আহত হওয়া।
√ বাহ্যিক এবং অভ্যান্তরীণ পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত বা ইনফেকশন হওয়া।।
√ মাইক্রো অরগানিজম (ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস) দ্বারা ঘটিত ইনফেকশন ।

পোল্ট্রিতে রোগগুলো দুটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
১/ Non-infectious disease:
যেসকল রোগ সমূহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিমানের ঘারতি,শারীরিক ক্ষতি,বিষাক্ত(toxic) পদার্থ গ্রহন ইত্যাদি কারনে হয়ে থাকে এদের অসংক্রামক (non-infectious) রোগ বলা হয়ে থাকে।কেননা এই রোগ গুলো একটি বার্ড থেকে অন্য বার্ডে সংক্রমণ হয় না।তবুও ফ্লকের অধিকাংশ বার্ডস উক্ত রোগে সাধারন লক্ষ্যণগুলো প্রদর্শন করে থাকে।

২/ Infectious disease:
সংক্রমণ রোগগুলো মাইক্রো-অরগানিজম (অনুজীব) যেমন-প্যারাসাইট,ফানজাই,প্রোটোজোয়া,ব্যাকটেরিয়া,মাইক্রোপ্লাজমা,ভাইরাস ইত্যাদি আক্রমণে সংগঠিত হয়ে থাকে।অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব রোগগুলো ছোয়াচে অর্থাৎ আক্রান্ত বার্ডের শরীর ও নির্গত বর্জ্য থেকে সুস্থ বার্ডের শরীরে সরাসরি অথবা পরোক্ষ ভাবে ছড়িয়ে থাকে।।অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে আক্রান্ত ফ্লক পরবর্তীতে নিজেই রোগের বাহক হিসাবে কাজ করে।।
সংক্রমণ রোগগুলো দু ভাবে ছড়িয়ে থাকে।
>> horizontal transmission (আনুভূমিক সংক্রমণ):মাইক্রো-অরগানিজম দ্বারা আক্রান্ত একটি বার্ড থেকে অন্য একটি সক্ষম,সামর্থ (susceptible) সুস্থ বার্ডে রোগ সংক্রমণ হয়ে থাকে এটিই হলো horizontal transmission সরাসরি সংক্রমণ।

>> vertical transmission:
প্যারেন্ট থেকে পরবর্তী বংশধর যেমন-(সন্তান,শাবক)গুলোতে ডিম বা শুক্রাণুর মাধ্যমেও রোগ সংক্রমণ হয়ে থাকে যা ভার্টিক্যাল ট্রান্সমিশন বলা হয়ে থাকে।।

২/ পরোক্ষ সংক্রমণঃ যখন একটি বার্ড থেকে অন্য একটি সক্ষম,সামর্থ (susceptible) সুস্থ বার্ডে পানি,খাদ্য,জনগন,খামারে ব্যবহৃত সরঞ্জাম,যানবহন ইত্যাদি বিষয় গুলোর কারনে রোগ সংক্রমণ থাকে।।

খামার ব্যবস্থাপনার ত্রুটি যেমন লিটার ও পর্দা ব্যবস্থাপনা,খামারের সৃষ্ট অ্যামোনিয়া গ্যাস,দূর্বল বায়োসিকিউরিটি ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর অবহেলা বিভিন্ন রোগকে নিমন্ত্রণ দিয়ে আনে।।।

 

পোল্ট্রি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা (পর্ব-৩)

পোল্ট্রি ফ্লক প্রধানত চারটি মাধ্যম বা উপায়ে রোগ আক্রান্ত করে থাকে।
১/ মেটাবলিক/নিউট্রিশনাল ডিজিজ
২/ ইনফেকশন/সংক্রমণশীল ডিজিজ
৩/ প্যারাসাইটিক/পরজীবী ডিজিজ
৪/ বিহ্যাবিওর/ আচারনিষ্ঠ ডিজিজ
#Metabolic_and_nutritional_Diseases:
মেটাবলিক/নিউট্রিশনাল ডিজিজঃ
এধরনের সমস্যা বা রোগগুলো সাধারনত ফ্লকের স্বাভাবিক মেটাবলিক/বিপাকীয় প্রক্রিয়া ব্যহত হওয়ার দরুন অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে জেনেটিক/জ্বীনগত ত্রুটি, অথবা অপর্যাপ্ত/অনুপযোগী পুষ্টির কারনেও হয়ে থাকে।।
এসব রোগের মধ্যে রয়েছে- ফ্যাটি লিভার ডিজিজ,প্যরালাইসিস,পেরোসিস,রিকেটস্ সহ বিভিন্ন ভিটামিন শূন্যতা জনিত রোগ সমূহ।।

#Infectious_disease :
সংক্রামক রোগ হলো এমন একটি অবস্থা এতে সুস্থ শরীর বিভিন্ন অনুজীব/pathogen দ্বারা আক্রান্ত হয়।পরবর্তীতে এরা আক্রান্ত শরীরে বৃদ্ধি পায় ও বংশবিস্তার করতে থাকে।এবং ধীরে ধীরে আক্রান্ত শরীরের কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়।
পোল্ট্রিতে সংক্রামক রোগের তালিকায় মূখ্যরুপে রয়েছে-
√গামবুরো/Infectious Bursal Disease
√ রাণীক্ষেত/Newcastle Disease
√সালমোনেলোসিস
√করাইজা
√ফাউল কলেরা
√ফাউল পক্স
√লিমফয়েড লিউকোসিস্
√মারেক্স
√মাইক্রোপ্লাজমোসিস
এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা,টিউবারক্লোসিস

এছাড়াও আরও অসংখ্য প্রানঘাতি সংক্রামক রোগ রয়েছে।

#Parasitic_Diseases:
পরজীবী আক্রান্ত রোগ গুলোতে ফ্লক পরজীব (parasitic organisms) দ্বারা সংক্রমন বা আক্রান্ত হয়ে থাকে।।একটি মধ্যবর্তী মাধ্যম দ্বারা পরজীব ফ্লকের সংস্পর্শে আসে।। (যেমন-পানি,খাদ্য,লিটার,যানবাহন) এবং আক্রান্ত হওয়ার পরবর্তীতে সরাসরি তার ফলাফল পরিলক্ষিত হয়।
এদের মধ্যে প্রধানত রয়েছে-
√কক্সিডিওসিস
√ক্রিপটোস্পরিডিওসিস
√ হিস্টোমনোসিস
√ টক্সোপ্লাজমোসিস

পোল্ট্রি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা (পর্ব-৪)

পোল্ট্রি স্বাস্থ্য নীতির প্রধান চাবিকাঠি তিনটি-
√Prevention :রোগ প্রতিরোধ।
√ Recognition: রোগ স্বীকৃতি/সনাক্তকরণ 
অর্থাৎ ফ্লক রোগ আক্রান্ত কিনা,এবং কোন রোগ দ্বারা আক্রান্ত তা দ্রুত খুজে বের করা।।
√Early Treatment:দ্রুত চিকিৎসা।

‌‌ যতটা সম্ভব রোগ প্রতিরোধ করার প্রতি নজর রাখতে হবে।।কেননা রোগ আক্রান্ত ফ্লকের চিকিৎসা করার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করতে পারলে খামারে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।যদিও শুধু প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই সার্বক্ষনিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ নিশ্চিত করা যায় তেমনটাও না।
যেকোন মূহুর্তে বিবিধ কারণে অবধারিতরুপে কিছু রোগ এসকল প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে ফ্লককে আক্রান্ত করে নেয়।
এমতাবস্থায় ফ্লকের রোগ প্রাথমিকভাবেই সনাক্তকরন করা অত্যাবশ্যক।অর্থাৎ রোগের প্রাথমিক লক্ষ্যন পর্যবেক্ষনের মাধ্যমেই রোগ সনাক্ত করতে হবে এবং যত দ্রত সম্ভব উক্ত রোগ বৃহৎ রুপ ধারনের পূর্বেই তার কার্যকর চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।।
তবে এক্ষেত্রে অর্থাৎ ফ্লকের রোগের প্রাথমিক পর্যায় জিনতে হলে অবশ্যই একটি সুস্থ ও একটি অসুস্থ বার্ড সম্পর্কিত সঠিক ধারনা থাকতে হবে।

একটি সুস্থ বার্ডের বৈশিষ্ট্য সমূহ –
°° ফ্লক অবশ্যই চঞ্চল ও সর্বদা সতর্কভাব থাকতে হবে।
°° স্টেইন/জাত,বয়স,ও লিঙ্গ ভেদে বার্ডের স্বাভাবিক সাইজ ও ওজন ঠিক থাকতে হবে।
°°কোন প্রকার বাহ্যিক আহত,ক্ষত, শরীর ফোলা থাকবে না।
°° শরীরের কোথাও কোন বিকৃতি, বা খোড়ামি/প্যারালাইসিস থাকবে না।
°°চোখ বা নাক দ্বারা কিছু নির্গত হবে না।
°° পালক কোমল স্বাভাবিক সতেজ থাকবে।পা উজ্জ্বল,হলুদাভাব থাকবে।
°° পৃষ্ঠদেশ সতেজ,চকচকে,মসৃন হবে।।

পর্ব-৫)
#রোগ_প্রতিরোধ_ব্যবস্থা#
পোল্ট্রি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা মূলনীতি হলঃ-
√ রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীব/অগ্রানিজম থেকে ফ্লককে যতটা সম্ভব বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।।
#সঙ্গরোধঃ-ফ্লক ও রোগজীবাণুর মধ্যকার সমঝোতা বন্ধ করতে হবে

 অর্থাৎ- খামারে রোগজীবাণু (রোগ সৃষ্টিকারী অনুজীব) যেন হরহামেশা আসতে না পারে সেজন্য সঠিক বায়োসিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে।
এবং খামার পরিচালনা ব্যাবস্থার প্রতি কঠোর মনোযোগী হতে হবে।।
√ যতটা সম্ভব ক্ষতিকর অনুজীব ধ্বংস/বিনাশ করতে হবে।।
খামার জীবাণু মুক্তকরনের জন্য সকল নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে।যেন খামারে কোন জীবানু থাকলেও তাদের রোধ করা যায়।
√সঠিক/যথাযথ ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম/কর্মসূচি মেনে চলতে হবে-বার্ডের ইমিউনি সিস্টেম, (ট্রিগার) মেতাবেক ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম করা শ্রেয়।
>> পোল্ট্রি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ফ্লকের ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের গুরুত্ব অপরিহার্য।বাচ্চার MDA লেভেল, ইমিউনিটি,ভ্যাকসিন ট্রিগার,রোগের প্রাদুর্ভাবের সম্ভাব্য সময়-কাল এসকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ভ্যাক্সিনেশন সিডিউল করা উচিৎ ।।

√ যথাপোযোগী পর্যবেক্ষন ব্যবস্থা- মাইক্রো-অগ্রানিজম/অনুজীবের উপস্থিতি পর্যবেক্ষন করা এবং ফ্লকের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার সাফল্য বা বিফলতা পর্যবেক্ষন করা।
>> সঠিকভাবে খামার/ফ্লক পর্যবেক্ষন করার মধ্যেই খামারের উন্নতি বিদ্যমান থাকে।কেননা,খামারের বায়োসিকিউরিটি,ভ্যাকসিন প্রোগ্রাম সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা বা ফ্লকের ইমিউনিটি কেমন, তার সকল ফলাফল পাওয়া যাবে খামার/ফ্লকের সঠিক পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে,কারন ফ্লক কোন ডিজিজ/রোগ আক্রান্ত হলে খামার বা ফ্লক সঠিক পর্যবেক্ষন কালে রোগের লক্ষ্যণ অবশ্যই দ্রুত দৃশ্যগোচর হবে।।ফলে রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা অতি সহজেই নেওয়া যায়।।।

#পোল্ট্রি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা (পর্ব-৬)

এমন বেশ কিছু কারন রয়েছে যা পোল্ট্রি ফ্লককে রোগ আক্রান্ত হতে প্রভাবিত করে থাকে।এদের মধ্যে রয়েছে… #জেনেটিক_জীনগত_রোগপ্রতিরোধ_ক্ষমতাঃ
ফ্লকের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এটা নির্ধারন করে যে একটা বার্ড কোন রোগজীবাণুর আক্রমণকে কতটা প্রতিহত করতে পারে অর্থাৎ নিজেকে রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
আমরা হয়ত দেখে থাকব যে খামারে কোন নিদিষ্ট রোগ দেখা দিলে সকল বার্ডই উক্ত রোগে একইসাথে আক্রান্ত হয় না,এর একটি কারন হলো,যে বার্ডের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম সেটিই প্রথমে রোগ আক্রান্ত হয়।
অর্থাৎ পরিবেশ/খামারে অবস্থানরত জীবানু ও খামারের ফ্লকের মধ্যস্ত বোঝাপড়ার মধ্যেই নিহিত রয়েছে কোন বার্ডটি সহজে রোগ আক্রান্ত হবে এবং কোনটির মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।
#ফ্লকের_স্ট্রেস_লেভেলঃ
পোল্ট্রিতে বিভিন্ন কারনে স্ট্রেস/ধকলের সম্মুখীন হতে পারে।এর মধ্যে রয়েছে ফ্লকের অধিক ঘনত্ব,পরিবেশ ও তাপমাত্রার প্রভাব,নিম্নমানের খাদ্য,পুষ্টিমানের অপূর্ণতা,সেড বা খাদ্য পরিবর্তন, সেডের কর্মচারী কতৃক ফ্লক হয়রানি ইত্যাদি।
#বি_দ্রঃ সকল ধরনের স্ট্রেস ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি/যোগ্যতাকে হ্রাস করার মাধ্যমে ফ্লকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দূর্বল করে দেয়।
যা ফ্লকের প্রাইমারী ইনফেকশন হওয়ার সম্ভবনাকে ত্বরান্বিত করতে থাকে।
√ বিভিন্ন অবস্থায় প্রাইমারী ইনফেকশন বার্ডের রোগ প্রতিহত বা মোকাবেলা করার ক্ষমতাকে অনেকাংশে হ্রাস করে দেয় যা পরবর্তীতে সেকেন্ডারী বা Subsequent Invaders নামে পরবর্তীতে বিবেচিত হয়।অনেক ক্ষেত্রে তেমন বিশেষ ক্ষতি ছাড়াই বার্ড বেঁচে থাকতে সক্ষম হয় যতক্ষন না তাদের সংক্রমন প্রাথমিক সংক্রমণ দ্বারা হ্রাস পায়।।যা পরবর্তীতে ফ্লকের বিশাল ক্ষতি সাধন করে থাকে।।

লেখকঃসাদাফ আয়মান

Please follow and like us:

About admin

Check Also

ফার্মের যে বিষয়গুলি সংশোধনের সুযোগ নাই তাই আগেই ঠিক করে শুরু করতে হবে।

ফার্মের যে বিষয়গুলি সংশোধনের সুযোগ নাই তাই আগেই করা উচিত।। ক।ফার্মের যে সমস্যা যা কোন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Translate »